চিকিৎসা চলছে শিশুটির। ছবি: সংগ্রহ।
চারটে পা আর দুটো পুরুষাঙ্গ-সহ এক শিশুর জন্ম হল কর্নাটকের বল্লারিতে। গত শনিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ স্থানীয় এক হাসপাতালে তার জন্ম হয়।
ওই শিশুকে অস্ত্রোপচারের জন্য রায়চরের বিজয়নগর ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি খুব জটিল হওয়ায় কী ভাবে অস্ত্রোপচার করলে তাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড বসানো হয়েছে। তবে ওই শিশুটির পরিবার অস্ত্রোপচারের জন্য প্রথমে রাজি ছিল না। শিশুটির মা বছর তেইশের ললিতাম্মার বিশ্বাস, সে ঈশ্বরের আশীর্বাদ। অস্ত্রোপচার করা উচিত হবে না। পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে বোঝান। দিভাকর গাড্ডি নামে এক চিকিৎসক জানান, শিশুটির চারটে পা আর দুটো পুরুষাঙ্গ ছাড়া শরীরের বাকি অংশ পুরোপুরি স্বাভাবিক রয়েছে। সে কারণে, বিশেষ করে পুরুষাঙ্গে অস্ত্রোপচার করে আলাদা করাটা মুশকিলের।
কেন এ রকম হয়?
ওই চিকিৎসক জানান, সাধারণত মনোজাইগোটটিক টুইন অর্থাৎ একই ভ্রুণ থেকে যমজ সন্তান হওয়ার ক্ষেত্রেই এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। মনোজাইগোটিক টুইনের ক্ষেত্রে একটি বিকাশের একটি দশায় ভ্রুণ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এর পর দু’টি আলাদা ভ্রুণ রূপেই তাদের বৃদ্ধি হতে থাকে। আর যমজ সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু দেখা যায় অনেক সময়ই অপুষ্টি বা জিনগত অন্য কোনও কারণে দুটো সন্তানের আলাদা ভাবে বৃদ্ধি হয় না। তখন জোড়া সন্তানের জন্ম হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
এই ঘটনা অবশ্য প্রথম নয়। পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটের গঙ্গা-যমুনার কথা তো সকলেরই জানা। মাথা, হাত-পা সবই আলাদা হলেও পেটের অংশে দু’জনের এমন ভাবে জোড়া যে তাঁদেরকে আলাদা করা যায়নি।
আরও পড়ুন: মানুষ না মেরেও এক লহমায় বিশ্বকে স্তব্ধ করে দেবে এই ব্রহ্মাস্ত্র!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy