টক্কর: বল দখলের লড়াইয়ে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েরাও। ছবি: টুইটার।
একটি দরজা বন্ধ হলে নাকি অন্য দরজা খুলে যায়। কিন্তু বন্ধ দরজার দেওয়ালটাই যদি ভেঙে যায়!
ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল খেলত বলে কম হেনস্থা হয়নি মেয়েটি। পরিকাঠামো ও সুযোগও ছিল কম। ফুটবল মাঠ ছেড়ে দৌড় শুরু করেছিল মেয়েটি। অসমের হিমা দাস এখন গোটা দেশের সোনার মেয়ে। কিন্তু ফুটবল ছেলেদের— ভাবনার এই দেওয়ালটাই ভাঙার চেষ্টা শুরু হয়ে গিয়েছে। ভাবী কালের অনেক খুদে হিমা এখন ফুটবল পেটাচ্ছে শিলংয়ের পোলো মাঠে বেবি লিগে। হ্যাঁ, ছেলেদেরই সঙ্গে!
বিশ্বকাপ এক মাসের। আইলিগ বা আইএসএল চলে মাস চারেক ধরে। এই লিগ চলে ছ’মাস ধরে। সকলেই তিন বা চার ফুটিয়া! চোদ্দো বছরের নীচে। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ‘ব্রেনচাইল্ড’ বেবি লিগ এক্কেবারে ব্যতিক্রমী! শুরু হয়েছিল গত বছর মুম্বইয়ে। এর পরে পুণে। তৃতীয় আসর বসেছে মেঘালয়ের শিলংয়ে। উত্তর-পূর্বের প্রথম বেবি লিগ। সহযোগিতায় মেঘালয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও টাটা ট্রাস্ট। বিশ্বকাপ শেষ। বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনা ফিরতে ফিরতে আরও চার বছর। মেঘালয় এখন বেবি লিগে মেতে। ফুটবল পাগল মেঘালয়ের বাবা-মায়েরা এখন ‘লিটল স্টার্স ক্লাউডেড লেপার্ডস’, ‘কিক স্টার্ট এফসি রাইনোজ’, ‘নওঙ্গৎরাই প্যান্থার্স’, ‘জেএনএস এফসি জাগুয়ার্স’ বা ‘লাংস্নিং গ্রিনার্জি লায়ন্স’-দের জন্য গলা ফাটাচ্ছেন। ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে খেলিয়ে আসলে দীর্ঘদিনের একটা দেওয়াল ভাঙতে চাইছে এআইএফএফ। লিঙ্গ বৈষম্যের ধারণাটি নস্যাৎ করে বেবি লিগে ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে খেলছে, বল কাড়ছে, গোল বাঁচাচ্ছে, গোল দিচ্ছে। এমএফএর মতে, ছোট থেকেই বিভেদের ধারণাটা ভেঙে দিচ্ছে এই লিগ।
প্রতিটি টিমে অন্তত ১০ শতাংশ মেয়ে খেলোয়াড় থাকা বাধ্যতামূলক। মেঘালয়ের গ্রামে মেয়েরাও ফুটবল খেলে। কিন্তু শহরে এই ভাবে প্রতিযোগিতায় তাদের দেখা যায়নি। প্রথম সুযোগেই দেখা যাচ্ছে ফুটবলে ছেলেদের পিছনে ফেলে দিচ্ছে মেয়েরা। অভিভাবকরা বলছেন, এমন ঘটনা মহিলাপ্রধান উত্তর-পূর্বের সমাজেও অভূতপূর্ব। আর কোনও হিমাকে যেন ফুটবল ছাড়তে না হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy