ফের সেরা হলেন অমিত শাহ। লোকসভা ভোট থেকে ত্রিপুরার বিধানসভার নির্বাচন— অমিত শাহকে বারবার সেরার শিরোপা দিয়ে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী। তবে বিজেপি সভাপতি এ বারে ‘সেরা’ হলেন ভিন্ন কারণে। আমদাবাদের যে সমবায় ব্যাঙ্কের অধিকর্তা তিনি, নোটবন্দির পর সেখানেই সব থেকে বেশি বাতিল নোট জমা পড়েছিল। মাত্র পাঁচ দিনে প্রায় ৭৪৬ কোটি টাকা।
বাতিল নোট বদলে নতুন করার দৌড়ে ‘প্রথম’ হওয়ায় ‘অভিনন্দন’ জানিয়ে রাহুল গাঁধী বিদ্রুপ ছুড়েছেন টুইটারে। বক্তব্য, নোটবন্দির পর মানুষের জীবন নষ্ট হচ্ছিল, আর অমিত শাহের ব্যাঙ্কে বাতিল নোট বদল হচ্ছিল। নোটবন্দির পর তাঁর দল আরও ৮১% ধনী হয়। সরকারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কংগ্রেস জানাচ্ছে, ২০১৬-তে পাঁচ দিনে গুজরাতের ১১টি জেলা সমবায় ব্যাঙ্কে ৩১১৮ কোটি টাকার বাতিল নোট জমা পড়েছিল।
ওই পাঁচ দিনে বিজেপি শাসিত অন্য রাজ্যের ব্যাঙ্কে জমা পড়ে ১৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার প্রশ্ন, ‘‘এত কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। মোদী কি তাঁর সেনাপতির বিরুদ্ধে তদন্ত করবেন? মোদী-অমিত, মোহন ভাগবত কি জানাবেন, কত টাকায় কত সম্পত্তি কিনেছেন? চেকে না নগদে? অমিতের ব্যাঙ্কে আর এক অধিকর্তা তাঁরই ঘনিষ্ঠ যশপাল চুড়াসামা। যাঁর নাম উঠেছিল জয় শাহ মামলায়। আবার সোহরাবুদ্দিন মামলায় অমিত শাহের সঙ্গেই জেল খেটেছেন তিনি।’’
বিজেপির অমিত মালব্যর বক্তব্য, ৭৪৬ কোটি টাকা জমা পড়েছিল কৃষক ও নব্য-মধ্যবিত্তদের ১ লক্ষ ৬০ হাজার অ্যাকাউন্টে। রাহুল ও কংগ্রেস নেতাদের অসাধু উপায়ে পাওয়া অর্থ জলে গিয়েছে। সে জন্যই তাঁরা মোদীর গায়ে কালি লাগানোর চেষ্টা করছেন।’’ সন্ধ্যায় নাবার্ডকে দিয়েও বিবৃতি দেওয়ানো হয়, কোনও দুর্নীতি হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy