সোমবার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের ডাকা ধর্মঘটে স্তব্ধ হয়ে গেল কাশ্মীর উপত্যকা। গত শনিবার রাস্তার ধারে দাঁড় করা একটি ট্রাক লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোড়ে কিছু উন্মত্ত দক্ষিণপন্থী জনতা। গুরুতর জখম হন বছর পঁয়ত্রিশের ট্রাকচালক শওকত আহমেদ দার এবং ২৩ বছরের জাহিদ রাসুল বাট নামের দুই ট্রাক চালক। ৭০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় সফদরজঙ্গের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন জাহিদ। রবিবার সেখানেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অগাম সতর্কতা মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিস প্রশাসন। শ্রীনগর ও পার্শ্ববর্তী স্পর্শকাতর অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বাটের মৃত্যুর জন্য রাজ্য সরকারকে সরাসরি দায়ী করেছেন হুরিয়ত নেতা মিরয়াজ উমর ফারুক।
ঘটনার সূত্রপাত, গত ৯ অক্টোবর। উধমপুরের চেনানি গ্রামের রাস্তায় তিনটি গরুর মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিষাক্ত কোনও কিছু খেয়ে মারা গিয়েছিল গরুগুলি। কিন্তু গো-হত্যা করা হয়েছে সন্দেহে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায় উধমপুরে। ইতিমধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের এক নির্দল বিধায়ক ইঞ্জিনিয়ার রশিদের বিফ-পার্টি নিয়েও ক্ষোভ জমা হয়েছিল দক্ষিণপন্থীদের মধ্যে। ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমে পড়ে তারা। রাস্তার ধারে দাঁড় করানো ছিল একটি ট্রাক। সেটিকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। গুরুতর জখম হন বছর পঁয়ত্রিশের ট্রাকচালক শওকত আহমেদ দার ও ২৩ বছর বয়সি জাহিদ রাসুল বাট। ৭০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় সফদরজঙ্গের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন জাহিদ। আজ সেখানেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
খবর ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো। জাহিদ ও শওকত, দু’জনেই দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগের বাসিন্দা। অনন্তনাগের রাস্তায় নেমে পড়েন বিক্ষুব্ধ লোকজন। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। টায়ার পোড়াতে শুরু করেন। কাশ্মীরকে দেশের সঙ্গে জুড়ে রেখেছে ওই একটি রাস্তা। গোটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে কাশ্মীর। শেষে পরিস্থিতি সামলাতে রাস্তায় নামে সেনা-পুলিশ। বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে থাকে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy