জামশেদপুরে বেলডিহ্ কালী বাড়িতে ভক্তদের ভিড়। বুধবার নববর্ষের সকালে পার্থ চক্রবর্তীর তোলা ছবি।
পয়লা বৈশাখের আগে এখানে চৈত্র সেল হয় না। হালখাতা পুজোর চলও খুব কম। তবে নতুন বছরের প্রথম সকালে বৈঠকী আড্ডা কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রাঁচি, জামশেদপুর, ধানবাদ, হাজারিবাগ কিংবা দেওঘরের বাঙালিরা রীতিমতো মজে থাকেন।
গত কাল সন্ধ্যায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়েই রাঁচির বালিকা স্কুলে বাঙালি যুব মঞ্চের বর্ষ-বিদায় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন স্থানীয় বাঙালিরা। সেখানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রাঁচির বাঙালি শিল্পীরাই। সেটিই ছিল ১৪২২-কে বরণের প্রথম অনুষ্ঠান। তার পর আজ সকাল থেকে স্থানীয় কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে ঝাড়খণ্ডের সিংহভাগ বাঙালি দিন শুরু করেন। সকালে রাঁচির অঙ্গার ক্লাবের তরফ থেকে নববর্ষের বৈঠকী-আড্ডার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় রাঁচির ইউনিয়ন ক্লাবের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় সঙ্গীতানুষ্ঠানের। শেষ হয় নৈশভোজে।
জামশেদপুরের নিউফার্ম এরিয়া দুর্গাপুজো কমিটি ও ঝাড়খণ্ড বাংলাভাষী যুব মোর্চার যৌথ উদ্যোগে সেখানে শান্তিনিকেতনের ‘রাঙামাটি’ গানের দলের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ধানবাদের শতাব্দী প্রাচীন বাঙালিদের লিন্ডসে ক্লাবেও হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দেওঘরে বাঙালি সমিতির তরফ থেকে আর এন বোস বাংলা লাইব্রেরীতে রবীন্দ্র সঙ্গীত আর নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয় নতুন বছরকে। সংস্থার তরফে সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নতুন প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতি সম্বন্ধে সজাগ করতে আমরা এই দিনে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতারও আয়োজন করি। তাতে অংশ নেওয়ার জন্য বাঙালি বাড়ির বাচ্চারা সারা বছর বাংলা গান, নাচ, রবীন্দ্র সঙ্গীতের চর্চা করে।’’ পলামুর ডালটনগঞ্জের বাঙালিরা নববর্ষের মিলনোৎসবকে সমাজ সেবারও অঙ্গ করে তুলেছেন। প্রতি বছরের মতো এ বারও সমিতির তরফে সেখানে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সন্ধ্যায় বৈঠকী-আড্ডা সম্পন্ন হয় রবীন্দ্র সঙ্গীত, আধুনিক বাংলা গানের মধ্যে দিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy