গ্রেফতারের পর ভারাভারা রাও। —ফাইল ছবি।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, মাও যোগের প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল পাঁচ লেখক সাহিত্যিক সমাজকর্মীকে। পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। পাশাপাশি সিট গঠনের আর্জি খারিজ করে ভীমা কোরেগাঁও কাণ্ডে বিদ্বজ্জনদের আরও চার সপ্তাহ গৃহবন্দি রাখার নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
২৯ অগস্ট এক যোগে দেশের বিভিন্ন শহরে হানা দিয়ে ভারাভারা রাও, অরুণ ফেরেরা, গৌতম নওলাখা, ভার্নন গঞ্জালভেস ও সুধা ভরদ্বাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ বছরের গোড়ায় ভীমা কোরেগাঁওয়ে অশান্তিতে মদত দেওয়া এবং মাওবাদীদের সঙ্গে যোগসাজশে সরকার ফেলার চক্রান্তের অভিযোগ ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। গ্রেফতারের পর থেকেই গৃহবন্দি রয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যেই ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে সিট গঠনের আর্জি জানান।
শুক্রবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ সেই মামলার শুনানির পর সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে জানিয়ে দিয়েছে, পাঁচ বিদ্বজ্জনকেই আরও ২৮দিন গৃহবন্দি রাখতে হবে। এই সময়ের মধ্যে পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিতে পারবে বলেও জানিয়েছে বেঞ্চ। সিট গঠনের দাবিও খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতিরা।
আরও পডু়ন: স্লোগান থামাতে বলায় ‘দেশদ্রোহী’ তকমা! এবিভিপি-র ছাত্রদের পায়ে ধরে ‘শিক্ষা’ দিলেন অধ্যাপক
আরও পড়ুন: এই মারণ রোগের থাবায় এ বছরই মারা যাবেন প্রায় এক কোটি মানুষ!
নির্দেশে প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি এ এম খানউইলকর একমত পোষণ করেন। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, পাঁচ বিদ্বজ্জনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ভাবে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগসাজশের উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ পেয়েই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এর পিছনে প্রতিহিংসা বা অন্য কোনও কারণ ছিল না। যদিও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের পর্যবেক্ষণ, যে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। সংবাদ মাধ্যমে পুলিশের বিবৃতি এবং একটি চিঠি পড়ার ঘটনার তীব্র সমালোচনাও করেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy