Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

ভীমা-তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের

গত শুক্রবার ভীমা কোরেগাঁও মামলায় ধৃত পাঁচ সমাজকর্মীর মুক্তির আবেদন সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে খারিজ হয়ে গিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার কিন্তু সেই রায়কে হাতিয়ার করেই ধৃতদের অন্যতম, গৌতম নওলাখাকে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি দিল দিল্লি হাইকোর্ট।

গৌতম নওলাখা

গৌতম নওলাখা

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:১৪
Share: Save:

তিন দিন আগের আংশিক ধাক্কা তিন দিন পরে বদলে গেল আংশিক স্বস্তিতে। গত শুক্রবার ভীমা কোরেগাঁও মামলায় ধৃত পাঁচ সমাজকর্মীর মুক্তির আবেদন সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে খারিজ হয়ে গিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার কিন্তু সেই রায়কে হাতিয়ার করেই ধৃতদের অন্যতম, গৌতম নওলাখাকে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি দিল দিল্লি হাইকোর্ট। নাগরিক সমাজের বড় অংশই এই নির্দেশকে অন্তত প্রাথমিক ভাবে তাঁদের নৈতিক জয় হিসেবে দেখছেন। ভীমা তদন্তে রাশ না-টেনেও তদন্তের কার্যপদ্ধতি নিয়ে এ দিন প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট।

গত ২৮ অগস্ট ভীমা কোরেগাঁও মামলার সূত্রে মহারাষ্ট্র পুলিশ যখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাঁচ সমাজকর্মী— গৌতম নওলাখা, ভারাভারা রাও, সুধা ভরদ্বাজ, ভার্নন গনজালভেস এবং অরুণ ফেরেইরাকে গ্রেফতার করে, তখন থেকেই নাগরিক সমাজের একাংশ প্রতিবাদে শামিল হয়েছিল। ধৃতদের মুক্তি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন রোমিলা থাপার, প্রভাত পট্টনায়কের মতো শিক্ষাবিদেরা।

কিন্তু বিদায়ী প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে ২:১ রায়ে আবেদনটি খারিজ হয়। আদালত বলে, সমাজকর্মীদের গ্রেফতার নিয়ে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। ধৃতদের গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ চার সপ্তাহ বাড়িয়ে তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রস্তুত হতে বলা হয়। তবে, বেঞ্চের অন্যতম সদস্য বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের মত ছিল ভিন্ন। তিনি পৃথক রায়ে লিখেছিলেন, এই গ্রেফতারি সাংবিধানিক ভাবে অবৈধ।

গৃহবন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে আজ অনেকটাই খুশি গৌতম ও তাঁর সহযোদ্ধারা। সেই সঙ্গে গৌতমের ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য মহারাষ্ট্র সরকারের যে আবেদন নিম্ন আদালতে মঞ্জুর হয়েছিল, তা-ও খারিজ করে দিয়েছে। হাইকোর্টের বক্তব্য, শীর্ষ আদালত ধৃতদের চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনে পদক্ষেপ করতে বলেছিল। গৌতম তা-ই করেছেন। তিনি ২৪ ঘণ্টার বেশি আটক রয়েছেন, তাই ট্রানজিট রিমান্ডের নির্দেশও বাতিল করা হচ্ছে।

গৌতমের আইনজীবীরা সওয়াল করেন, বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে কেস ডায়েরি জমা দেওয়া হয়নি। অন্য যা নথিপত্র দেওয়া হয়েছে, তা মরাঠিতে লেখা। অথচ গৌতমদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছিল জানুয়ারি মাসে। অগস্ট মাসের মধ্যে পুলিশ কেস ডায়েরি তৈরি করল না কেন আর নথিপত্রই বা মরাঠি থেকে অনুবাদ করাল না কেন, সেটাই তাঁদের প্রশ্ন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE