ভীমা কোরেগাঁও হিংসা মামলায় জড়িত সন্দেহে ধৃত পাঁচ সমাজকর্মীর গৃহবন্দি থাকার মেয়াদ আজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এ দিন তা আরও ২৪ ঘণ্টা বাড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামিকাল প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ফের শুনানি হবে এ নিয়ে। সুধা ভরদ্বাজ, ভারাভারা রাওদের মুক্তি চেয়ে আবেদন করেছেন রোমিলা থাপার-সহ চার জন।
আজকের শুনানিতে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সরকারের পেশ করা তথ্য-প্রমাণ নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলেন। সরকার পক্ষ যে তথ্য প্রমাণ পেশ করেছে তাতে দেশের তাবড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজবিজ্ঞান কেন্দ্রেরও নাম রয়েছে। এ কথা উল্লেখ করে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন, ‘‘এই প্রতিষ্ঠানগুলিও কি সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্তে লিপ্ত? বিরোধিতা বা প্রতিবাদের সঙ্গে সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য অশান্তি পাকানোর মধ্যে ফারাকটা স্পষ্ট করা দরকার।’’
অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা আর্জি জানান, বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। গোটা দেশ এ দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তাই বেঞ্চ যেন পুরো বিষয়টি শোনার পরেই কোনও মত দেয়। তাঁর সঙ্গে একমত প্রকাশ করে বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, ‘বাজপাখির মতো তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে’ পুলিশের পেশ করা তথ্য-প্রমাণ খতিয়ে দেখা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘কারও স্বাধীনতা কখনও পুরো তথ্য না জেনে নেওয়া সিদ্ধান্তের বলি হতে পারে না। প্রয়োজনে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে বেঞ্চ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy