Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বাইবেলে সিদ্ধ গোমাংস, দাবি মিজো বিজেপির

গোমাংস ভক্ষণ ও গোহত্যা রোধে কেন্দ্রের নির্দেশ নিয়ে বিতর্কে উত্তর-পূর্বের উপজাতি ও খ্রিস্টান প্রধান রাজ্যগুলিতে চাপে বিজেপি। বিজেপির বিরুদ্ধে গোমাংসকেই প্রচারের প্রধান অস্ত্র করেছে কংগ্রেস। চলছে তাদের লাগাতার প্রচার। আগামী বছর মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরামে বিধানসভা নির্বাচন।

রাজীবাক্ষ রক্ষিত
গুয়াহাট শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৭ ০৩:৪৯
Share: Save:

মেঘালয়ের পর গোমাংস ভক্ষণের পক্ষে এ বার সওয়াল করতে নামল খ্রিস্টান-প্রধান মিজোরামের বিজেপি নেতৃত্ব। তবে মেঘালয়ের নেতাদের মতো মিজোবাসীর খাদ্যাভ্যাস বা গোমাংসের জনপ্রিয়তার কথা তুলে তাঁরা সওয়াল করেননি। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তথাকথিত ‘ধর্মীয়’ লাইনের বিরুদ্ধে সওয়াল করতে মিজো নেতৃত্বের ভরসা সেই ধর্ম—‘বাইবেল’। মিজোরামের প্রদেশ বিজেপি সভাপতি জে ভি লুনা বাইবেলকে সামনে ধরে বলেছেন, ‘‘খোদ বাইবেলেই গোমাংস ভক্ষণের কথা বলা হয়েছে। বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলেও মিজোরামে গোমাংস নিষিদ্ধ হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’’

গোমাংস ভক্ষণ ও গোহত্যা রোধে কেন্দ্রের নির্দেশ নিয়ে বিতর্কে উত্তর-পূর্বের উপজাতি ও খ্রিস্টান প্রধান রাজ্যগুলিতে চাপে বিজেপি। বিজেপির বিরুদ্ধে গোমাংসকেই প্রচারের প্রধান অস্ত্র করেছে কংগ্রেস। চলছে তাদের লাগাতার প্রচার। আগামী বছর মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরামে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই দ্রুত গোমাংস বিতর্ক শেষ করতে চাইছেন তিন রাজ্যের বিজেপি নেতারা। মিজোরাম ও নাগাল্যান্ডে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর হার মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশেরও বেশি। মেঘালয়ে ৯২% গারো ও ৮৫% খাসি গোষ্ঠীর মানুষই খ্রিস্টান। অরুণাচলে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর হার ৩১% হলেও সেখানকার উপজাতিরা গরু-মিথুনের মাংস খান। উত্তর-পূর্বের বিজেপি নেতাদের শঙ্কা গোমাংসে হাত পড়লে টান পড়বে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কেও।

আরও পড়ুন:মন্দসৌর যেতে বাধা পেয়ে ঝড় তুললেন রাহুল

মেঘালয়ে গোমাংস বিতর্কের বলি দুই বিজেপি নেতা ও বহু কর্মী।
দলের অন্যরাও ফুঁসছেন। এই অবস্থায় আজ আইজলে বিজেপি সভাপতি লুনা ‘বাইবেল’-কে হাতিয়ার করেছেন। কেন্দ্র যদি সব রাজ্যে গোমাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ করে তখন কী হবে? লুনা বলেন, ‘‘আমরা এ নিয়ে অমিত শাহের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি বলেছেন, মিজোরা প্রথা অনুযায়ী গোমাংস খেতে পারবে। ওই নির্দেশ নিয়ে তাঁদের ভাবতে হবে না।’’

১২ জুন মোদী-মেলায় যোগ দিতে আসছেন রাজনাথ সিংহ। সেখানে মণিপুর, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচলের বিজেপি-জোটের মুখ্যমন্ত্রীরাও থাকবেন। সেখানে তাঁরা গোমাংস বিতর্কে রাজনাথের হস্তক্ষেপ দাবি করতে চলেছেন। জানা গিয়েছে, রাজনাথকে জানানো হবে, গোমাংস বিতর্ক না থামালে আগামী বছর উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যের ভোটে জয় অধরাই থাকবে বিজেপির। ভাঙতে পারে বিজেপি নেতৃত্বাধীন নর্থ-ইস্ট ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (নেডা)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE