Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

পৃথক রাজ্যের দাবি জোরদার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে

‘ন্যাশনাল ফেডারেশন ফর নিউ স্টেটস’-এর মঞ্চে উত্তর-পূর্বের বেশ কয়েকটি সংগঠন রয়েছে।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৯ ০২:৫৭
Share: Save:

কাশ্মীর থেকে লাদাখকে বিচ্ছিন্ন করায় উৎসাহিত অসম, মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ডের পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠনগুলি।

‘ন্যাশনাল ফেডারেশন ফর নিউ স্টেটস’-এর মঞ্চে উত্তর-পূর্বের বেশ কয়েকটি সংগঠন রয়েছে। মঞ্চের দাবি, নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ার জন্যে সংসদে বিজেপির সংখ্যাধিক্য রয়েছে। ভুবনেশ্বর কনভেনসন (১৯৯৬) অনুযায়ী বিজেপি ছোট রাজ্য তৈরির পক্ষে। তাই নতুন ছোট রাজ্য গঠনের ক্ষেত্রে বিজেপির আর কোনও যুক্তি খাটে না।

বড়োল্যান্ডের দাবিতে ১৯৮০ থেকে সশস্ত্র আন্দোলন চালানো প্রাক্তন জঙ্গি নেতা হাগ্রামা মহিলারি এখন বড়ো স্বশাসিত পরিষদের প্রধান। কিন্তু সেখানে উন্নয়ন সে ভাবে হয়নি বলে দাবি। এখন বড়োরা অসমকে ৫০:৫০ অনুপাতে ভাগ করার স্লোগান তুলেছেন। বড়ো ছাত্র সংগঠন আবসু ও এনডিএফবি (আলোচনাপন্থী)-র দাবি, রাজনৈতিক চাপ বা প্রশাসনিক সুবিধার জন্য উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা, ছত্তীসগঢ়ের পরে লাদাখও পৃথক হল। সে ক্ষেত্রে বড়োল্যান্ড গড়ার আর সমস্যা কোথায়? কার্বি রাজ্যের দাবিতে তৈরি যৌথ মঞ্চের শীর্ষ নেতা স্ট্যালিন ইংতির দাবি, ‘‘অর্ডিন্যান্স এনে সংবিধানের ২৪৪ ধারার অধীনে আমাদেরও রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হোক।’’ অসমে কোচ-রাজবংশীরা পৃথক কামতাপুরের দাবিতে নামনি অসম ও উত্তরবঙ্গে আন্দোলন চালাচ্ছেন। সশস্ত্র আন্দোলন চালাচ্ছে কেএলও। ছাত্র সংগঠন আক্রাসু চালাচ্ছে গণতান্ত্রিক আন্দোলন। তারাও লাদাখ মডেল অনুসরণ করে কামতাপুর গঠনের দাবি তুলেছে।

মেঘালয়ে পৃথক গারোল্যান্ডের দাবিতে রক্তক্ষয়ী লড়াই চালিয়েছে জিএনএলএ, এএনভিসি। এএনভিসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান বার্নার্ড সাংমার মতে কাশ্মীর পরিস্থিতি গারোদের কাছে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। মণিপুরে ১৯৯০-এর দশক থেকে কুকিরা স্বশাসিত কুকিল্যান্ডের জন্য অস্ত্র ধরেছেন। তাঁদের দাবি, প্রাচীন কাল থেকে তাঁরা স্বাধীন প্রদেশের মালিক ছিলেন। তাই তাঁদেরও স্বশাসিত রাজ্য প্রাপ্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE