Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মিছিলের ডাক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের

সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের আগেই কাশ্মীরের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতা ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গ্রেফতার বা গৃহবন্দি করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার।

নিরাপত্তা বাহিনীকে আটকাতে বাসিন্দারা তৈরি করেছেন এই ঘেরাটোপ। বুধবার শ্রীনগরে। ছবি: রয়টার্স।

নিরাপত্তা বাহিনীকে আটকাতে বাসিন্দারা তৈরি করেছেন এই ঘেরাটোপ। বুধবার শ্রীনগরে। ছবি: রয়টার্স।

নিজস্ব প্রতিবেদন 
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৯ ০২:৫৫
Share: Save:

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের বিরুদ্ধে গণমিছিলের ডাক দিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। বিশেষ মর্যাদা লোপের পরে এই প্রথম এমন প্রতিবাদের ডাক দিলেন তাঁরা।

সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের আগেই কাশ্মীরের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতা ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গ্রেফতার বা গৃহবন্দি করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। মর্যাদা লোপের ঘোষণার পরে বিপুল বাহিনী মোতায়েন ও কড়া নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শ্রীনগরের নানা এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দল বা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তরফে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়নি।

আজ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতৃত্বের তরফে শুক্রবারের নমাজের পরে সব কাশ্মীরবাসীকে মিছিলে যোগ দিতে আহ্বান করা হয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা জানিয়েছেন, ওই মিছিল ১৯৪৯ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পরে তৈরি রাষ্ট্রপুঞ্জের সামরিক পর্যবেক্ষকের দফতর পর্যন্ত যাবে।

শ্রীনগরের নানা এলাকায় এই মিছিলের সমর্থনে পোস্টার পড়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে‌, বহিরাগতদের এনে কাশ্মীরের প্রকৃতি বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছে দিল্লি। শুক্রবারের নমাজের এ নিয়ে সরব হতে ধর্মীয় নেতাদেরও অনুরোধ জানিয়েছেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। গত কয়েক দিন ধরে দিল্লি-বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে শ্রীনগরের সৌরা। আজ সেখানকার কয়েক জন বাসিন্দা জানালেন, তাঁরা ওই মিছিলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এলাকার মূল মসজিদের কাছে দাঁড়িয়ে মিছিলের সমর্থনে লাগানো পোস্টার পড়ছিলেন এক মাঝবয়সী বাসিন্দা। নাম জানাতে চাইলেন না। শুধু বললেন, ‘‘আমরা সবাই যাওয়ার চেষ্টা করব। কিন্তু আমাদের যেতে দেওয়া হবে কিনা জানি না।’’

পুরনো শ্রীনগরের জ়াইনাকাডাল এলাকায় আজ বন্ধ ছিল সব দোকান। রাস্তায় কয়েক জন বাসিন্দা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তাঁরা অবশ্য এখনও এই প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা জানেন না। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বললেন, ‘‘আমাদের নেতারা ডাক দিলে রাস্তায় নামব।’’ এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, গত কাল ফতেহকাডাল এলাকায় বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েন কয়েক জন বিক্ষোভকারী। পরিস্থিতি সামলাতে ছররা ছোড়ে বাহিনী। তাতে গুরুতর আহত হয়েছেন এক বিক্ষোভকারী। তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি।

অনির্দিষ্টকালীন কার্ফু চলায় স্থানীয়দের মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা প্রশমনে এগিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। কাশ্মীরিরা যাতে নিজেদের ক্ষোভ জানাতে পারেন সে জন্য শুক্রবার থেকে জনতার দরবার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তাতে জনতার অভিযোগ শুনবেন রাজ্যপালের পরামর্শদাতা কে কে শর্মা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE