বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে প্রাক্তন সেনা অফিসারদের নিয়োগ করছে বিহার সরকার। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এক-আধ জন নয়, রাজ্যের ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১০টিতেই রেজিস্ট্রার পদে ব্রিগ্রেডিয়ার এবং কর্নেল পদমর্যাদার প্রাক্তন সেনা অফিসারদের নিয়োগ করেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। ক্ষোভ ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেও।
রাজ্যপাল তথা আচার্যের প্রধান সচিব ব্রজেশ মেহরোত্রা বলেন, ‘‘নিযুক্ত সকলেই যোগ্য এবং অভিজ্ঞ। পদোন্নতি, বেতন সংক্রান্ত বিষয়-সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক সমস্যায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি জেরবার হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে।’’ অভিজ্ঞ সেনা অফিসারদের পূর্ণ সময়ের রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে গতি আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে শিক্ষকদের একটি অংশ রাজ্য সরকারের এই দাবি মানতে নারাজ। তাঁদের মতে, ‘‘দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে এ ভাবে ইংরেজরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনা শাসন কায়েম করেনি।
গত ডিসেম্বরে মেজর জেনারেল সুরিন্দর সিংহ মামক অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারদের রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের আর্জি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। মামক মনে করেন, ‘‘ভবিষ্যত প্রজন্মের সেবার জন্য বিহারের অবসরপ্রাপ্ত অফিসাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন।’’
গত মাসেই পটনা হাইকোর্ট বেশ কয়েক জন উপাচার্য এবং সরকারি অফিসারদের ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যপদ্ধতি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে লাগাম ছাড়া দুর্নীতির প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রশাসনিক পদ্ধতির উন্নতি চাইছেন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পরেই এই নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারদের চেয়ে বেশি দায়িত্ব কেউ নিতে পারবেন না বলেই মনে করছে আচার্যের দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy