সরব: দেশ জুড়ে বেড়ে চলা শিশু-ধর্ষণ ও গণপিটুনির প্রতিবাদে মিছিল আমদাবাদে। ছবি: পিটিআই
শিশু ধর্ষণে মত্যুদণ্ডের মতো কড়া সাজার বিধান আনার পথে আরও এক ধাপ এগোল কেন্দ্র।
আজ ভারতীয় দণ্ডবিধি ও ফৌজদারি আইন (সংশোধিত), ২০১৮ বিলটি লোকসভায় পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। নাবালিকাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলায় সম্প্রতি ধর্ষণকারীদের কড়া সাজা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক। মেনকা গাঁধীর মন্ত্রকের পক্ষ থেকে প্রস্তাবে বলা হয়, বারো বছরের নীচে নাবালিকাদের ধর্ষণে শাস্তি হোক মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ওই প্রস্তাব মেনে নেয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। জারি হয় অধ্যাদেশ।
কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ছিল, বাদল অধিবেশনে ওই সংশোধনী বিলটি আনা হবে। সেই মতো আজ বিলটি লোকসভায় পেশ করেন রিজিজু। বিলে একটি নতুন ধারা যোগ করে বলা হয়েছে, বারো বছরের নীচে কোনও নাবলিকাকে ধর্ষণ বা গণধর্ষণের দায়ে অন্তত ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সর্ব্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে। এমন ক্ষেত্রে ধর্ষণকারীরা জামিনও পাবেন না।
জামিন অযোগ্য ধারা আনা হয়েছে ১৬ বছরের কম কাউকে ধর্ষণের ক্ষেত্রেও। সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবনের সুপারিশ করা হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ধর্ষণে ন্যূনতম সাজা ৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করা হচ্ছে। অপরাধীদের দ্রুত শাস্তিবিধানে অভিযোগ জানানোর দু’মাসের মধ্যে ধর্ষণ মামলার তদন্ত এবং মামলার শুনানিও দু’মাসের মধ্যে শেষ করার ধারা এনেছে কেন্দ্র। অভিযুক্তদের পক্ষে করা পুনরাবেদনের শুনানিও ছয় মাসের শেষ করতে বলা হয়েছে সংশোধিত বিলে। লোকসভা ও রাজ্যসভায় সংশোধনী বিলটি পাশ হলেই আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy