—ফাইল চিত্র।
আগরতলা বিমান বন্দর সম্প্রসারণের জন্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব কী ভাবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে সরাসরি জমি চাইতে পারেন— এই প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীররঞ্জন বর্মণ। তাঁর মতে, নিয়ম বহির্ভূত কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি ভারত বাংলা পর্যটন উৎসবে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সেখানে তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের জমি অধিগ্রহণ করার জন্যে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা হয়েছে। জমি দিলে আগরতলা বিমানবন্দর দুই দেশই সমান ভাবে ব্যবহার করতে পারে। হাসিনা এই প্রস্তাবে সাড়া দেননি— এমন ইঙ্গিতও দেন বিপ্লব। সঙ্গে জানান, এতে তিনি থেমে থাকেননি। হাসিনাকে ঢাকা-আগরতলা বিমান পরিষেবা চালু করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। বিপ্লবের দাবি, হাসিনা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ নতুন বিমান কিনলে ঢাকা-আগরতলা রুটে বিমান পরিষেবা চালু করা নিয়ে ভাববে। এ ছাড়া ফেনী নদীর উপরে সেতু নির্মাণ শেষ হলে কক্সবাজারে নির্মীয়মাণ বিমান বন্দরের সুবিধা নিতে পারবেন এই অঞ্চলের জনগণ।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবের এই সব দাবি ঘিরে রাজ্যে তো বটেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে বাংলাদেশেও। সমীররঞ্জনের দাবি, ‘‘এমন প্রস্তাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের। ওঁর কোনও এক্তিয়ারই নেই এভাবে কথা বলার।’’ আদৌ তিনি এমন প্রস্তাব দিয়েছেন কি না তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন সমীররঞ্জন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমেও বিপ্লবকুমারের ওই বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy