নরেন্দ্র মোদী
দেশে দুর্নীতির গভীর শিকড়কে উপড়ে ফেলতেই তিনি নোটবন্দির কড়া ওষুধ প্রয়োগ করেছেন বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ের ভোটের প্রচারে গিয়ে একের পর এক জনসভায় মোদীর নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন রাহুল গাঁধী। এ দিন তারই জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী। ঝাবুয়ার জনসভায় মোদী বলেন, ‘‘উই পোকা মেরে ফেলতে বিষাক্ত ওষুধ দিতে হয়। একই ভাবে দুর্নীতি আটকাতে আমি নোটবন্দির তিতো ওষুধ দিয়েছি।’’ মোদীর দাবি, এত দিন যাঁরা বিছানার নীচে, অফিস কিংবা কারখানায় টাকা লুকিয়ে রাখতেন, তাঁদের এখন প্রতিটি পয়সার উপরে কর দিতে হচ্ছে। সেই টাকা সাধারণ মানুষের কল্যাণের বিভিন্ন প্রকল্পে খরচ হচ্ছে। কালো টাকা ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনতেই তিনি নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নোটবন্দির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে বিরোধীদের আক্রমণের জবাব দিতে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে মাঠে নামিয়েছিলেন মোদী। এ বার ভোট প্রচারে নিজের সিদ্ধান্তের সমর্থনে যুক্তি হাজির করলেন।
নোটবন্দি নিয়ে জবাবই শুধু নয়, চাষিদের ঋণ মকুবে রাহুলের প্রতিশ্রুতি নিয়েও এ দিন মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। মধ্যপ্রদেশের কৃষকদের উদ্দেশে মোদী বলেন, ‘‘কংগ্রেসের কথায় ভুলবেন না। ঋণ মকুব নিয়ে লোক দেখানো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তারা। বিধানসভা ভোটের আগে কর্নাটকে চাষিদের সামনে এমনই কথা বলেছিল কংগ্রেস। তবে সেখানে সরকার গড়ার পরে চাষিদের ঋণ মকুব হয়নি, উল্টে ঋণের দায়ে তাঁদের জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।’’
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ২০০৮ সালে লোকসভা ভোটের আগেও কৃষি ঋণ নিয়ে একই রকম আশ্বাস দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু সেটা ভাঁওতা বলে প্রমাণিত হয়েছে। আর তাঁর সরকার ২০২২ সালের মধ্যে দেশের চাষিদের রোজগার দ্বিগুণ করার উদ্দশ্য নিয়ে এগোচ্ছে। কংগ্রেসকে ‘কৃষক বিরোধী’ আখ্যা দিয়ে মোদী অভিযোগ করেন, কংগ্রেস জমানায় কৃষিঋণ মকুবে অসংগতির কথা সিএজি তাদের রিপোর্টেও উল্লেখ করেছিল।
মধ্যপ্রদেশের উন্নয়নে বিজেপি ও কংগ্রেস জমানা নিয়েও তুলনা টানেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘‘আমরা চার বছরে এখানে যা করেছি, কংগ্রেস দশ বছরেও তা করতে পারেনি।’’ তাঁর দাবি, গত চার বছরে এনডিএ সরকার প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় কোনও গ্যারান্টি ছাড়াই ১৪ কোটি মানুষকে ঋণ দিয়েছে।
সনিয়া গাঁধীকে কটাক্ষ করে মোদী এ দিন ইউপিএ জমানাকে ‘ম্যাডাম কি সরকার’, ‘রিমোট কন্ট্রোলওয়ালি সরকার’ আখ্যা দেন। এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি দেশের ১২৫ কোটি মানুষের পাশে থেকে তাঁদের জন্য কাজ করি। এটাই কংগ্রেসকে যন্ত্রণা দেয়।’’ মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস যেন একটি আসনেও জিততে না পারে, ভোটারদের উদ্দেশে সেই আর্জি জানান মোদী। রেওয়ার জনসভায় জনতার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘আপনারা রোজ ১০ ঘণ্টা পরিশ্রম করলে, দেশের উন্নয়নে দিনের ১১ ঘণ্টা দেব আমি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy