ফাইল চিত্র।
কংগ্রেসের নজর যখন মধ্যপ্রদেশে, রাজ্যসভা ভোটের আগে গুজরাতেও কংগ্রেস শিবিরে থাবা বসাল বিজেপি।
তবে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের গুজরাতে সরকার বিজেপির। ফলে সরকার ফেলার কোনও প্রয়োজন নেই তাদের। কিন্তু ২৬ মার্চ সে রাজ্যে চার আসনে রাজ্যসভার ভোট। ২টি আসনে জয় নিশ্চিত বিজেপির। তৃতীয়টিও ছিনিয়ে নিতেই চলছে কংগ্রেসের বিধায়কদের ইস্তফার পালা। গুজরাত বিধানসভার স্পিকার রাজেন্দ্র ত্রিবেদী জানিয়েছেন, কংগ্রেসের চার বিধায়ক ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি গ্রহণও করেছেন। কংগ্রেসের আরও ৩ বিধায়ককে ভাঙিয়ে আনার চেষ্টায় আছে বিজেপি। সেটি হলে বিজেপির তৃতীয় আসন জয়ও পাকা হবে। কংগ্রেস যে ২টি আসন জেতার স্বপ্ন দেখছিল, তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে একটিতেই।
কিন্তু রাজ্যসভা আসনের জন্য যে ভাবে বিধায়ক হাতছাড়া হচ্ছে, সেটিই বেশি উদ্বেগের কংগ্রেসের কাছে। শক্তিসিন গাহিল ও ভরত সিংহ সোলাঙ্কি কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন। বিধায়কদের রুখতে গুজরাতের কংগ্রেস নেতারা এখন এক জনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের কথা ভাবছেন। কথা হচ্ছে দিল্লির সঙ্গেও। কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে একটি রাজ্যসভা আসনের জন্য আধ ডজন বিধায়ক খোয়ানো কাজের কথা নয়। সব রাজ্যেই বিজেপি বিরোধীদের অস্থির করার চেষ্টা করছে। মধ্যপ্রদেশে তো হচ্ছেই, আজ খবর এল প্রধানমন্ত্রী করোনা নিয়ে নাকি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কথা বলেছেন! শুধু উদ্ধব কেন? করোনার আড়ালে অন্য ছক নয় তো?’’
গুজরাতের উপমুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেল ক’দিন আগেই বলেছিলেন, কংগ্রেসের অন্দরে দ্বন্দ্ব আছে। রাজ্যসভার প্রার্থী নিয়েও তাঁদের অনেকে খুশি নন। বিজেপি প্রথমে অভয় ভরদ্বাজ ও রমীলাবেনকে প্রার্থী করে। মনোনয়ন পেশের শেষ দিনে তৃতীয় আসনে লড়াই করতে নরহরি অমীনকেও প্রার্থী করে দেয়। নিজেদের বিধায়কদের বিজেপির হাত থেকে বাঁচাতে কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের জয়পুরে ১৪ জন বিধায়ককে পাঠিয়ে দিয়েছে রাহুল গাঁধীর দল। বাকিদের পাঠানোর কথাও ভাবা হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস বিধায়কদের আজই জয়পুর থেকে ভোপালে নিয়ে আসা হয়। মধ্যপ্রদেশেও ভাঙন রুখতে তাঁদের পাঠানো হয়েছিল জয়পুরে।
কয়েক বছর আগে গুজরাতের রাজ্যসভা ভোটপর্বই নজর কেড়েছিল গোটা দেশে। কংগ্রেসের নেতা আহমেদ পটেলকে হারানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন অমিত শাহ। বিধায়কদের সেই সময়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। নির্বাচনের দিন কংগ্রেসের বিধায়ক ক্রস ভোটও করেন। কিন্তু কংগ্রেস জমি ছাড়েনি। অভিযোগ জমা পড়ে কমিশনে। গভীর রাত পর্যন্ত চলতে থাকে রাজনৈতিক তৎপরতা। অবশেষে কমিশনের রায়ে জয়ী হন আহমেদ পটেল। কিন্তু এ বারে কি গড় ধরে রাখতে পারবে কংগ্রেস?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy