Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মুলায়মের রাজ্যে অসমই মডেল বিজেপির

বিহারের ভুল যেন আর না হয়। বরং মনে থাকুক অসম। উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসল আরএসএস। আর সেই বৈঠকে উঠে আসা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব হল ওই— বিহার নয়, অসম।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৪
Share: Save:

বিহারের ভুল যেন আর না হয়। বরং মনে থাকুক অসম। উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসল আরএসএস। আর সেই বৈঠকে উঠে আসা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব হল ওই— বিহার নয়, অসম।

গোবলয়ের সবথেকে বড় রাজ্যে ক্ষমতা দখলই এখন বড় চ্যালেঞ্জ নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের। আরএসএস নেতৃত্বও চাইছেন না, এই নির্বাচনে বিহারের মতো পরিণতি হোক। তাই দিল্লিতে অমিত ও কিছু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে আরএসএসের দত্তাত্রেয় হোসাবোলে, কৃষ্ণগোপালরা আজ সকাল থেকে বৈঠকে বসেন। স্থির হয়েছে, সঙ্ঘ ও বিজেপির মধ্যে সমন্বয় করেই এগোনো হবে। অসম-মডেলকে অনুসরণ করে ভোট করানো হবে উত্তরপ্রদেশে।

কী সেই অসম-মডেল? প্রথমত, প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থানীয় মুখের ওপর ভরসা। আরএসএস সূত্রের মতে, বিহারে বিজেপি সর্বশক্তি দিয়ে ভিন্ রাজ্য থেকে নেতাদের এনে ভোটে ঝাঁপিয়েছিল। কিন্তু ‘বাইরের’ নেতাদের দিয়ে সেই প্রচারকে ভালো চোখে দেখেননি সাধারণ মানুষ। তাই ভাবা হচ্ছে, মোদী-অমিতরা শহরে বড় বড় সভা করবেন। কিন্তু গ্রামে-গঞ্জে তাঁদের বার্তা পৌছে প্রচার করুন স্থানীয় নেতারাই। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশে চার স্থানীয় মুখ ইতিমধ্যেই বেছে নিয়েছে বিজেপি। এঁরা হলেন রাজনাথ সিংহ, উমা ভারতী, কলরাজ মিশ্র এবং কেশবপ্রসাদ মৌর্য। প্রথম দু’জন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনাথ ঠাকুর নেতা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কলরাজ ব্রাহ্মণ আর উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি কেশবপ্রসাদ ওবিসি নেতা। ভোটব্যাঙ্কের চরিত্রের দিক দিয়ে মিল রয়েছে বিহার ও উত্তরপ্রদেশের। তাই বিহার মডেলে না চললেও জাতপাতের অঙ্ক মাথায় রাখতে হচ্ছে বিজেপিকে।

দ্বিতীয়ত, টিকিট দেওয়ার সময় অন্য দল ছেড়ে আসা বড় নেতাকে প্রাধান্য দেওয়া। যেমনটি অসমে বিদ্রোহী কংগ্রেস নেতা হিমন্তবিশ্ব শর্মার ক্ষেত্রে হয়েছিল।

তৃতীয়ত, আরএসএসের সঙ্গে যাবতীয় বিষয়ে সমন্বয় রাখা, যাতে বিজেপি ও সঙ্ঘ একই সুরে কথা বলে। বিহার নির্বাচনের সময় সংরক্ষণ নিয়ে সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবতের মন্তব্যের খেসারত দিতে হয়েছিল বিজেপিকে। আরএসএসের সংগঠনকে আরও সুষ্ঠু ভাবে কাজে লাগাতে লখনউ, মেরঠ ও গোরক্ষপুরে তিনটি বিশেষ কেন্দ্রও খোলা হচ্ছে।

চতুর্থত, সরকারের প্রকল্পগুলি নিয়ে তৃণমূল স্তরে আরএসএসেরও প্রচার। সেই কারণে মন্ত্রীদের থেকে আজ গরিব উন্নয়ন প্রকল্পগুলির বিবরণ চাওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

mulayam BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE