—ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলে শাসক জোটের অন্যতম শরিক অসম গণ পরিষদকে (অগপ) কোণঠাসা করার পরে এ বার বিজেপি নেতারা তোপ দাগছেন তাদের বিরুদ্ধে। জোট শরিক অগপর মন্ত্রী-বিধায়করা গত কিছু দিন জোটের প্রধান শরিক বিজেপির বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। এ বার বিজেপির কোর্টে বল।
প্রফুল্ল মহন্তর মতো প্রবীণ নেতারা বলছেন, বিজেপির হাত ছেড়ে একলা চলাই অগপর পক্ষে ভাল। সেই চাপেই পঞ্চায়েত ভোটে একলা লড়ার সিদ্ধান্ত নেয় অগপ। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে নিজেদের শক্তি যাচাই করাই লক্ষ্য ছিল অগপ নেতৃত্বের। একলা লড়াইয়ের এই সিদ্ধান্ত অগপর দিকেই বুমেরাং হয়ে ফিরে এসেছে। নিজেদের দুর্গ বলে পরিচিত এলাকাতেই তারা ধরাশায়ী হয়েছে। নিরঙ্কুশ দখলে আসেনি কোনও জেলা পরিষদ বা পঞ্চায়েত।
এই পরিস্থিতিতে বিজেপি-অগপর জোট রসায়ন, অগপ নেতৃত্বের লাগাতার বিজেপি-বিরোধী মন্তব্য এবং অগপ ও বিজেপির ভোটের ফলাফল নিয়ে অমিত শাহকে একটি রিপোর্ট দিলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রঞ্জিৎ দাস। তিনি জানান, জোট ছাড়ার কথা বার বার অগপ নেতারাই বলেছেন। তাঁরা জোটধর্ম পালন না করে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। এখন জোট রাখা বা না রাখা, বা পরবর্তী লোকসভা ভোটে আসন সমঝোতার সমীকরণ কী হবে তা এই রিপোর্টের ভিত্তিতে ঠিক হবে। সিদ্ধান্ত নেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা অগপর সমালোচনা করে বলেন, ‘‘বার বার সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া বা বিজেপির নিন্দা করে লাভ নেই। জোটে থাকলে মিত্র হিসেবেই থাকা উচিত।’’ অগপ বিধায়কদের আক্রমণের অন্যতম লক্ষ্য ছিলেন হিমন্ত। তিনি বলেন, ‘‘এই নির্বাচন দেখিয়ে দিল, কে কার কাঁধে উঠেছে।’’ দুই জোট-শরিকের মধ্যে সম্পর্ক এতটাই তিক্ত হয়ে উঠেছে যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন এলাকায় অগপর সঙ্গে কংগ্রেসের অঘোষিত মিত্রতাও চোখে পড়ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy