গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকর
অসুস্থতার কারণে শনিবার দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি হলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। তার পরেই বিজেপির জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি (এমজিপি) জানিয়েছে, নিজের অনুপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত রাজ্যের সবচেয়ে সিনিয়র মন্ত্রীকে দায়িত্বভার ছেড়ে দেওয়া। এটাই তার ‘সঠিক সময়।’
প্রায় সাত মাস ধরে অগ্ন্যাশয়ের অসুখে ভুগছেন ৬২ বছরের পর্রীকর। এর আগে তিন মাস তাঁর আমেরিকায় চিকিৎসা চলেছে। সেই সময় রাজ্যের কাজ দেখভালের জন্য মন্ত্রিসভার একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা পর্রীকর। এ বার তিনি ভর্তি হয়েছেন দিল্লির এইমসে। বিজেপি সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি পরীক্ষা হবে তাঁর।
এই ফাঁকেই আসরে নেমে পড়েছে এমজিপি। দলের সভাপতি দীপক দভলিকর বলেন, ‘‘শেষ আট মাস সরকারের কাজকর্ম ঠিক ভাবে এগোয়নি। পর্রীকর মুখ্যমন্ত্রী থাকুন, কিন্তু তাঁর অনুপস্থিতিতে দায়িত্বভার সবচেয়ে সিনিয়র কোনও মন্ত্রীকে বুঝিয়ে দিন। রাজ্যের উন্নতির জন্যই এটা দরকার।’’ হায়দরাবাদে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখন শুধু পর্রীকরের আরোগ্য কামনা করছি। এই ব্যাপারে দল ঠিক সময়ে ব্যবস্থা নেবে।’’ তবে সূত্রের খবর, পর্রীকরের বিকল্প নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। এই জন্য আগামী সোমবার গোয়ায় একটি দল পাঠাচ্ছে তারা। অসুস্থতার কারণে পর্রীকর নিজেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে চেয়েছেন বলেও সূত্রের খবর।
এমজিপি, গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি (জিএফপি) এবং বেশ কয়েক জন নির্দল বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে গোয়ায় সরকার গড়েছে বিজেপি। এমজিপি-র বিধায়ক সংখ্যা তিন। এমজিপি নেতা তথা দীপক দভলিকরের দাদা সুদিন দভলিকর গোয়ার পূর্তমন্ত্রী। তিনি রাজ্যের সবচেয়ে সিনিয়র মন্ত্রীও। তা হলে তাঁর হাতেই কি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার তুলে দেওয়া উচিত? এই প্রশ্নের উত্তরে দীপক বলেন, ‘‘সেটা আমি জানি না। কে সবচেয়ে সিনিয়র, সেটা ওদেরই (বিজেপি) ঠিক করতে দিন।’’ বিজেপির সঙ্গে এমজিপি-র মিশে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেন তিনি। এমজিপি-র দাবি নিয়ে জিএফপি প্রধান তথা গোয়ার কৃষিমন্ত্রী বিজয় সরদেশাই বলেন, ‘‘সব কিছু তো আর এমজিপি-র ইচ্ছেয় হতে পারে না। জোট সরকারে সকলে মিলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’’ এমজিপি-র দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা নির্দল বিধায়ক গোবিন্দ গাওড়েও। এই টানাপড়েন নিয়ে বিজেপি এবং তার জোটসঙ্গীদের এক হাত নিয়েছে কংগ্রেস। দলের নেতা গিরিশ চোড়নকর বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সরছেন কী সরছেন না, জানি না। গোয়ার উন্নতি দেখতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy