Advertisement
১৯ মার্চ ২০২৪
National News

ব্রিগেডের জের! বিহারি বাবুকে বহিষ্কারের পথে এগোচ্ছে বিজেপি?

ব্রিগেডের সভায় কার্যত বিরোধীদের থেকেও আক্রমণাত্মক ছিলেন শত্রুঘ্ন। নোটবন্দি নিয়ে তোপ দেগেছেন। রাহুলের সংলাপ ধার করে জিএসটি-কে ‘গব্বর সিং ট্যাক্স’ বলেছেন।

কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশে শত্রুঘ্ন সিনহা। —রয়টার্সের তোলা ফাইল চিত্র

কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশে শত্রুঘ্ন সিনহা। —রয়টার্সের তোলা ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:১২
Share: Save:

দলে থেকেও তিনি বহুবার দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। সমালোচনায় সরব হয়েছেন। আর শনিবার কলকাতার ব্রিগেড সমাবেশ সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। এত দিন শত্রুঘ্ন সিন্‌হাকে নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত না নিলেও এবার তাঁর বিরুদ্ধে ‘শাস্তি’র দাবি জোরালো হচ্ছে। এমনকি, বিহারিবাবুকে বিজেপি থেকে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও দলের একটি সূত্রে খবর।

শনিবার ব্রিগেড সমাবেশে বিজেপি এবং মোদী সরকার তথা বিজেপিকে একের পর এক ইস্যুতে খোলাখুলি আক্রমণ করেছেন শত্রুঘ্ন সিন্‌হা। বিজেপি সূত্রে খবর, তাতে বেজায় চটেছে দলের একটা বড় অংশ। ‘বিদ্রোহী’ বিহারিবাবুর মন্তব্যে দলের কর্মীদের মনোবল ধাক্কা খাবে বলে দলের ওই অংশের মত। তাঁরাই বহিষ্কারের দাবিতে দলের অন্দরে সরব হয়েছেন।

সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। রবিবারই তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এবার বিহারীবাবুর বিরুদ্ধে অমিত শাহ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে খবর। এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে, সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ করায় খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে দলবিরোধী কাজের জন্য শো-কজ নোটিস ধরাতে পারেন। তাতে সঠিক ব্যাখ্যা না পেলে দল তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

আরও পড়ুন: দেশে সরকার বদল করতেই হবে, ব্রিগেডে সুর মিত্রশক্তির

এত দিন ছোটখাটো সভা-সমাবেশ বা সংবাদ মাধ্যমে বলে এসেছেন। কখনও নোট বাতিল, কখনও বা তেলের দাম বৃদ্ধি থেকে সিবিআইয়ের কোন্দল নিয়ে মুখ খুলে দলকে বহুবার বিড়ম্বনায় ফেলেছেন শত্রুঘ্ন। দলীয় অনুশাসনের তোয়াক্কাই করেননি। তা নিয়ে বিজেপি নেতারা সমালোচনা করেছেন। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্যই তিনি দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, এমন অভিযোগও প্রচুর। তার পরও পটনা সাহিবের সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা শোনা যায়নি।

এবার পরিস্থিতি পাল্টেছে। ব্রিগেডের সভায় কার্যত বিরোধীদের থেকেও আক্রমণাত্মক ছিলেন শত্রুঘ্ন। নোটবন্দি নিয়ে তোপ দেগেছেন। রাহুলের সংলাপ ধার করে জিএসটি-কে ‘গব্বর সিং ট্যাক্স’ বলেছেন। রাফাল চুক্তির ১১ দিন আগে তৈরি সংস্থা অনীল অম্বানীর রিলায়্যান্স ডিফেন্স কী ভাবে অফসেট পার্টনার হয়ে গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। মোদীকে প্রায় সরাসরি বলেছেন, ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’। সত্যি কথা বলেন বলেই তিনি ‘বিদ্রোহী’ তকমা পেয়েছেন বলেও দাবি করেন বিহারিবাবু।

আরও পড়ুন: ভারত-বন্ধনে তৃপ্ত মমতা, বোঝালেন নিজের জনপ্রিয়তাও

শোনা যাচ্ছে, এবার বিহারিবাবুকে পটনা সাহিবের টিকিট দিচ্ছে না বিজেপি। কিন্তু তিনিও ওই কেন্দ্রেই লড়তে নাছোড়। ফলে বিজেপির সঙ্গে সঙ্ঘাত চরমে। শোনা যাচ্ছে, শত্রুঘ্নও তলে তলে লালুপ্রসাদের আরএলডি-র সঙ্গে কথা চালাচ্ছেন। রফা প্রায় চূড়ান্ত। ফলে কোনও পক্ষেরই আর কার্যত কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তাই শত্রুঘ্ন যেমন ব্রিগেডের মঞ্চে সরাসরি মোদিকে আক্রমণ শানিয়েছেন, বিজেপির অন্দরেও তাঁকে বহিষ্কারের তৎপরতা শুরু হয়েছে।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE