প্রতীকী ছবি।
নতুন গবাদি-বিধি রাজ্যের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ নয়। চার দিক থেকে চাপের মুখে আজ এই ব্যাখ্যা দিল কেন্দ্র। এমনকী দু’পা পিছিয়ে বিজেপি নেতৃত্বও জানিয়ে দিলেন, গবাদি পশু জবাইয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রাজ্যের হাতেই থাকছে।
কেরলের পিনারাই বিজয়নের পরে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়— মোদী সরকারের নতুন গবাদি-বিজ্ঞপ্তির বিরোধিতা করে বলেছেন, রাজ্যের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্র। আইনেও এটি ধোপে টিকবে না। বাকি মুখ্যমন্ত্রীদেরও এ ব্যাপারে সরব হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন বিজয়ন। অন্যান্য বহু মহল থেকেও সরকারের এই কাজের তীব্র সমালোচনা হয়েছে। চাপের মুখে আজ কেন্দ্রে মোদীর সেনাপতি অরুণ জেটলি বলেন, ‘‘নতুন বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ নয়।’’
জেটলির যুক্তি, এই মুহূর্তে দেশে দুই ধরনের রাজ্য আছে। কিছু রাজ্যের নিজস্ব আইন আছে, বাকিদের নেই। সংবিধানেই বলা আছে, কিছু পশুকে রক্ষা করার কথা। ১৯৫০ সালে জওহরলাল নেহরুর সময় থেকেই একের পর এক রাজ্য এই ব্যাপারে আইন প্রণয়ন করেছে। এখন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে রাজ্যের আইনে কোনও হস্তক্ষেপ হচ্ছে না। এটি শুধু মাত্র গবাদি পশুর কেনাবেচার স্থান সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি। কৃষকেরা গবাদি পশু শুধু বাজারে বেচতে পারবেন নাকি বাজারের বাইরে থেকেও কেনা যাবে, বিজ্ঞপ্তি শুধু সেটি নিয়েই। কিন্তু তাদের জবাই করার জন্য রাজ্যের আইনই বলবৎ থাকবে।
জেটলির কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে মেঘালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির অন্যতম জাতীয় মুখপাত্র নলিন কোহলির গলায়। তিনিও জানান, গরু জবাই প্রসঙ্গে রাজ্যই সিদ্ধান্ত নেবে, কেন্দ্র নয়। ঘটনা হল, উত্তর-পূর্বের সিংহ ভাগ রাজ্যেই গরুর মাংস জনপ্রিয়। স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্রের গবাদি-বিধিতে বিপাকে পড়েছেন উত্তর-পূর্বের বহু বিজেপি নেতা। মেঘালয়ের একাধিক বিজেপি নেতা বেশ কিছু দিন ধরেই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, আগামী বছর বিধানসভা ভোটে জিতলে রাজ্যে গোমাংসের দাম কমানো হবে। স্বাভাবিক
ভাবেই বিড়ম্বনা এড়াতে সুর বদল করছে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy