Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

খট্টর ‘সফল’, প্রচারে বিজেপি

বিজেপির যুক্তি, রাম রহিমকে আদালত পর্যন্ত নিয়ে যাওয়াই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এর আগে ধর্মগুরু রামপালকে আদালত পর্যন্ত নিয়ে যেতে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল হরিয়ানা সরকারকে। ভক্তদের বিরোধে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৭ ০৩:৫৭
Share: Save:

তিন দিন আগে তাঁর ইস্তফার জন্য দলের ভিতর থেকেই চাপ বাড়ছিল। আর আজ তাঁর ‘সাফল্য’ তুলে ধরেই প্রচার শুরু করেছে বিজেপি।

তিনি হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর।

আদালত রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল শুক্রবার। তার পরে প্রাণ হারান ৩৮ জন। হাইকোর্ট খট্টর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে। দিল্লিতে বিজেপির অন্দরেও মুখ্যমন্ত্রীকে অপসারণের জন্য চাপ ছিল। কিন্তু তিন দিনেই বদলে গেল ছবিটা। আজ রাম রহিমের কুড়ি বছরের জেল হতেই বিজেপি তুলে ধরেছে খট্টরের সাফল্য। শুধু আজকের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা নিয়ে নয়, বরং শুক্রবারও খট্টর ‘সফল’ বলে ‘হিরো’র মর্যাদা পাচ্ছেন!

কেন? বিজেপির যুক্তি, রাম রহিমকে আদালত পর্যন্ত নিয়ে যাওয়াই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এর আগে ধর্মগুরু রামপালকে আদালত পর্যন্ত নিয়ে যেতে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল হরিয়ানা সরকারকে। ভক্তদের বিরোধে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল পরিস্থিতি। এ বার রাম রহিমকে বুঝিয়ে আদালত পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া গিয়েছে। রায়ের আগে ভক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করলে হিতে বিপরীত হতো। শুক্রবার হিংসাও মাত্র তিন ঘণ্টায় সামাল দেওয়া গিয়েছে। সেটাই খট্টরের সাফল্য। ফলে ইস্তফার প্রশ্ন নেই।

তা হলে প্রথম দিন বিজেপি শিবির থেকেই কেন খট্টরের ইস্তফার জন্য চাপ বাড়ানো হচ্ছিল? দলের এক নেতার কথায়, ‘‘চাপ তো ছিলই। খট্টরকে তোপ দাগা হচ্ছিল, যাতে আঁচ প্রধানমন্ত্রীর উপর না পড়ে।’’ কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘কীসের সাফল্য? সাম্প্রতিক অতীতে প্রধানমন্ত্রী বা কোনও মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি এমন কঠোর মন্তব্য করেনি আদালত। তার পরেও ভুল স্বীকার না করে ঔদ্ধত্যের পরিচয় দিয়েছেন মোদী, খট্টর।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE