Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

অন্তর্দ্বন্দ্বে উত্তাল ডিমা হাসাও বিজেপি

ডিমা হাসাও জেলা বিজেপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়েছে। মহিলা মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি মালতী লাংথাসা ও হাফলং মন্ডল বিজেপির সভাপতি বিপানন কেম্প্রাইয়ের বিরুদ্ধে দলীয় অনুশাসন ভঙার অভিযোগ তুলেছেন দলীয় নেতাদের একাংশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাফলং শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৬ ০২:৫৭
Share: Save:

ডিমা হাসাও জেলা বিজেপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়েছে। মহিলা মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি মালতী লাংথাসা ও হাফলং মন্ডল বিজেপির সভাপতি বিপানন কেম্প্রাইয়ের বিরুদ্ধে দলীয় অনুশাসন ভঙার অভিযোগ তুলেছেন দলীয় নেতাদের একাংশ। তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপে করার দাবিতে সরব মহিলা মোর্চা সভাপতি দীপালি হাপিলা, যুব মোর্চা সভাপতি নিরঞ্জন হোজাই।

আজ বিজেপি জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে দীপালি হাপিলা ও নিরঞ্জন হোজাই দাবি করেন, ১৮ অগস্ট বিজেপি অফিসে মালতী লাংথাসা ও বিপানন কেম্প্রাই হাফলং টাউন কমিটির চেয়ারম্যান পদে অনিল দাওলাগাপুর নিযুক্তি নিয়ে যে সব অভিযোগ তুলেছিলেন তা ভিত্তিহীন।

এমনকী তাঁরা অনিল দাওলাগাপুকে সরিয়ে জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বনানী কেম্প্রাইকে চেয়ারম্যান করার দাবি জানিয়েছিলেন। এ দিন নিরঞ্জনবাবুরা দাবি করেন, ওই ধরনের বক্তব্য অবৈধ। এর সঙ্গে মহিলা মোর্চার কোনও সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেন দীপালিদেবী। দলীয় অনুশাসন ভাঙার অভিযোগে মালতীদেবীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করার জন্য প্রদেশ বিজেপি নেতৃত্বের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে বলেও জানানো হয়।

অনিল দাওলাগাপু বিজেপির প্রাথমিক সদস্য বলে জানান দীপালি হাপিলা। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর অনিলবাবু বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেছিলেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি দলের জন্য অনেক কাজও করেছেন। দীপালিদেবী বলেন, ‘‘অনিল দাওলাগাপু হাফলং শহরের এক প্রবীণ নাগরিক। তিনি গ্রামপ্রধান সংগঠনের সভাপতি।’’ দীপালিদেবী জানান, ১৩ জুলাই গ্রামপ্রধান অ্যাসোসিয়েশনের সভায় অনিল দাওলাগাপুকে হাফলং টাউন কমিটির চেয়ারম্যান করার জন্য উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের সিইএম দেবলাল গারলোসার কাছে স্মারকলিপি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে পার্বত্য পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্দেশে অনিল দাওলাগাপুকে চেয়ারম্যান করা হয়।

যুব মোর্চা সভাপতি নিরঞ্জন হোজাই অভিযোগ তোলেন, দলের সঙ্গে কথা না বলে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বিধায়ক বীরভদ্র হাগজারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন মালতীদেবী, বিপানন কেম্প্রাই। সে সবের কোনও ভিত্তি নেই। দু’জনকে শো-কজ নোটিস পাঠানো হয়েছে।

সাংবাদিক বৈঠকে জেলা বিজেপির মুখপাত্র সমরজিৎ হাফলংবার দলে অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘‘মতভেদ আলোচনা করে মিটিয়ে ফেলতে হবে।’’

তিনি জানান, মালতী লাংথাসা ও বিপানন কেম্প্রাইয়ের কাছ থেকে শো-কজ নোটিসের জবাব পাওয়ার পরই দল উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবে। জেলা সভাপতি নির্বাচনের পর দলের সমস্ত কোন্দল শেষ হয়ে যাবে বলেও তিনি আশাপ্রকাশ করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dima Hasao
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE