দিল্লিতে সদ্য তৈরি নতুন ভবনের আদলে দেশ জুড়ে ৬৩৫টি অফিস গড়ার পরিকল্পনায় সামিল পশ্চিমবঙ্গও। ইতিমধ্যেই ২০টি জায়গায় কার্যালয় গড়ার জন্য জমি কিনে ফেলেছে রাজ্য বিজেপি। তিন জেলায় নতুন কার্যালয়ে কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্র ভূমি পূজন হতে চলেছে আরও তিনটি স্থানে। সব মিলিয়ে ১০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে বিজেপি সূত্রের দাবি।
খাস কলকাতায় জাঁকজমকপূর্ণ রাজ্য দফতর তৈরির বাজেট অবশ্য আলাদা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছেন, তহবিলের সমস্যা নেই কিন্তু তৃণমূলের চেয়ে বড় পার্টি অফিস গড়ে তুলতে হবে।
আর এই তহবিল নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কথায়, ‘‘এখন বোঝা যাচ্ছে জনগণনের আচ্ছে দিন আসেনি। বিজেপির আচ্ছে দিন এসেছে। নোট বাতিলের আগাম খবর ছিল বলে যে যে টাকা ওরা সরিয়ে রেখেছিল, তা দিয়েই এখন দলীয় দফতর বানানো হচ্ছে।’’ যা মানতে চাননি বিজেপির সহ-সভাপতি সুভাষ সরকার। তাঁর পাল্টা জবাব, ‘‘নোটবন্দির অনেক আগেই দলীয় দফতর নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জমি কেনার লেনদেন পুরোটাই চেকে হচ্ছে।’’
বিজেপি সূত্রের খবর, ৩৭টি সাংগঠনিক জেলাতেই কার্যালয় তৈরির জন্য টাকা দিচ্ছেন অমিত শাহ। ২০টি জেলায় জমি কেনা হয়ে গিয়েছে। বারুইপুর, বালুরঘাট, বিষ্ণুপুরে নতুন কার্যালয় চালু হয়ে গিয়েছে। আলিপুরদুয়ার-সহ আরও কয়েকটি স্থানে জমিতে পাঁচিল দেওয়ার চলছে। বর্ধমান, কলকাতা উত্তর শহরতলির অফিস আবার ভূমিপূজনের অপেক্ষায়। জেলায় জেলায় এসইউভি গাড়িও দিতে শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ থেকে ৩০০ মোটরবাইক আনা হয়েছিল। কলকাতা পুলিশ সেই বাইক আটক করেছে। রেজিস্ট্রেশন দিচ্ছে না পরিবহণ দফতরও। পঞ্চায়েতের আগে জেলায় জেলায় মোটরবাইক পৌঁছতে ভিন্ন কৌশল নেওয়া হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy