নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। পিটিআইয়ের তোলা ছবি।
গত কয়েক দিনে বিরোধী থেকে শরিক, সকলে একবাক্যে বলেছেন অটলবিহারী বাজপেয়ী সকলকে নিয়ে চলতেন। তাঁদের এ কথার লক্ষ্য যে আসলে নরেন্দ্র মোদী, সে কথা মোদী নিজে এবং অমিত শাহ ভালই বুঝেছেন। ভোটের আগে ভিত পোক্ত করতে এ বারে তাই শরিক মন জয়ে নামছেন মোদী-অমিত।
বাজপেয়ীর মৃত্যুর জন্য দলের কর্মসমিতি পিছোতে হয়েছিল, যেটি ৮-৯ সেপ্টেম্বর হবে। এর পরেই শরিকদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু করবেন বিজেপি সভাপতি। বিরোধী শিবিরে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে মাসের শেষে ৩০ অগস্ট ডিএমকের আমন্ত্রণে করুণানিধির স্মরণ অনুষ্ঠানেও চেন্নাই যেতে পারেন অমিত শাহ। সেখানে সব বিরোধী দলের প্রতিনিধি-সহ নীতীশ কুমারের মতো এনডিএ শরিকেরও যাওয়ার কথা।
বাজপেয়ীর মৃত্যুর পরেই মোদী নিজেকে তাঁর উত্তরসূরি প্রমাণের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘এটাই আসল সময়। বিরোধীরা যখন বাজপেয়ীর সঙ্গে মোদীর ফারাক করছেন, মোদী সেই ফারাকটি ঘুচিয়েই দেখাবেন। ভুলে যাবেন না, মোদীর ফোনেই নবীন পট্টনায়েকের মতো এনডিএ ছাড়া শরিকও রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের ভোটে আমাদের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বাজপেয়ীর মৃত্যুর পর সপরিবার বিজেপি দফতরে এসেছেন উদ্ধব ঠাকরে। রাত দুটোয় দিল্লি ছুটে এসেছেন স্ট্যালিন, কানিমোঝি। চন্দ্রবাবু থেকে মেহবুবা মুফতি, ফারুক আবদুল্লা এসেছেন। বিজেপি কেন এই মুহূর্তটি হাতছাড়া করতে যাবে?’’
রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের আগে থেকেই অমিত শাহ শরিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পঞ্জাবে গিয়ে প্রকাশ সিংহ বাদলের সঙ্গে, পটনায় গিয়ে নীতীশ কুমার, মুম্বইতে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে। অকালি দলের নরেশ গুজরালের মতে, ‘‘গত চার বছর ধরে শরিকদের উপেক্ষা করে এসেছে বিজেপি। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে পরের ভোটে শরিকদের আরও নির্ভরতা বাড়বে।’’ সেটি বুঝেই বিজেপি এখন শরিকদের কাছে টানতে চাইছে, নতুন দলেরও সন্ধান করছে। তবে কংগ্রেসের দাবি, ‘‘নরেন্দ্র মোদী যতই অটলবিহারী হয়ে ওঠার চেষ্টা করুন, তিনি তা পারবেন কি? সকলকে নিয়ে চলার ক্ষমতা তো তাঁর নেই!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy