Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

তিমির টানে আবার চেষ্টা আত্মহত্যার

দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী এক বিএসএফ জওয়ানের মেয়ে। সোমবারই জোধপুরে কায়লানা হ্রদের কাছে এসে স্কুটি থামায় সে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
জোধপুর শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৪৩
Share: Save:

নীল তিমি চ্যালেঞ্জের শেষ ধাপে পৌঁছে গত সোমবারই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল জোধপুরের ১৭ বছরের কিশোরী। সে বার বাঁচিয়ে দেওয়া গিয়েছিল তাকে। হতাশা কাটাতে চলছিল কাউন্সেলিং। তার পরও তিমির আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারল না সে। বুধবার বেশ কয়েকটা ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফের আত্মহত্যার চেষ্টা করল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার ওপর কড়া নজর রাখা হয়েছে।

দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী এক বিএসএফ জওয়ানের মেয়ে। সোমবারই জোধপুরে কায়লানা হ্রদের কাছে এসে স্কুটি থামায় সে। নিজের অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ছুড়ে ফেলে দেয়। তার পর ঝাঁপ দেয় জলে। কাছেই ছিলেন সিদ্ধিনাথের দর্শনার্থীরা। তাঁরা মেয়েটিকে জলে ডুবতে দেখে তাকে উদ্ধার করেন।

পরে, জোধপুর পুলিশ মেয়েটিকে বাবা-মা-র হাতে তুলে দেয়। প্রথম বার আত্মহত্যার চেষ্টার পরেই দেখা যায়, মেয়েটি হাতে নীল তিমি-র ক্ষত এঁকেছে। তার জন্য বাজারে গিয়ে ছুরিও কিনেছিল সে। ক্ষতের মাঝে লিখেছে এ ও এস অক্ষর। মেয়েটি জানায়, সে আত্মহত্যা না করলে পরিবারের ক্ষতি করা হতে পারে। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে মেয়ের কাউন্সেলিং করাতে শুরু করেন বাবা-মা। কিন্তু তাতেও যে আতঙ্ক কাটেনি তা বোঝা গেল বুধবার।

অন্য দিকে, মঙ্গলবার ত্রিপুরায় নীল তিমির গ্রাস থেকে উদ্ধার করা হল আর এক শিকারকে। পশ্চিম জেলার এক প্যারামেডিক্যাল কলেজের আবাসিকরা নজর করেন, প্রথম বর্ষের ছাত্র নিলয় দাস তিমির কবলে পড়েছেন। তিনিও হাত কেটে তিমি-র ক্ষত তৈরি করেছিলেন। খবর পেয়ে, তাঁর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। শিক্ষকরা তাঁর কাউন্সেলিং করার পর বছর কুড়ির ছাত্রটিকে ঊনকোটি জেলায় গ্রামের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তাঁর কৃষক বাবা। ঘটনার খবর গিয়েছে আমতোলি থানায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE