শ্রম সম্মেলনের মঞ্চে মোদী-জেটলি। ছবি: পিটিআই।
বিজ্ঞান ভবনের মঞ্চে বসে নরেন্দ্র মোদী। পাশে অরুণ জেটলি ও অন্যান্য মন্ত্রী-আমলা। ওই মঞ্চে দাঁড়িয়েই মোদী সরকারকে নিশানা করছেন বিএমএস-এর সভাপতি বৈজনাথ রাই। সঙ্ঘ-পরিবারের শ্রমিক সংগঠনের নেতা বলছেন, মোদী সরকার নিজের খুশিমতো কাজ করছে। অনেক কিছু ঘোষণা করছে। বাস্তবে রূপায়ণ হচ্ছে না।
মোদী-জমানায় অভূতপূর্ব এই ঘটনাই ঘটল সোমবারের জাতীয় শ্রম সম্মেলনে। একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সঙ্ঘ-পরিবারের শ্রমিক সংগঠন আক্রমণ শাণাল বিজেপি সরকারকে। শুধু কেন্দ্রের নয়। রাজস্থানে বসুন্ধরা রাজে সরকারের শ্রম আইনের সংস্কারেরও সমালোচনা করলেন বিএমএস নেতারা।
এই প্রবল আক্রমণের মুখেও অবশ্য পিছু হঠেননি নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, শ্রম আইনের সংস্কার হবেই। এখনও পর্যন্ত অ্যাপ্রেন্টিস আইনের মতো যে সব শ্রম আইনে সংশোধন হয়েছে, সেগুলির পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। তবে জমি বিলে হাত পোড়ানো মোদী আশ্বাস দিয়েছেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতেই তাঁর সরকার শ্রম আইনে সংশোধন করবে।
প্রধানমন্ত্রী যে সংস্কারের পক্ষেই সওয়াল করবেন, তা জানাই ছিল। কিন্তু তার পাশাপাশি আজ মোদী নিজেকেই শ্রমিক দরদী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। বলেছেন, ‘‘শ্রমিকদের আমার উপর সবথেকে বড় অধিকার রয়েছে। আমি নিজেই ওই জায়গা থেকে উঠে এসেছি। তাই শ্রমিকদের দুর্দশা থেকে যাওয়ার জন্য আমার সঙ্গে ক্যামেরা নিয়ে যাওয়ার দরকার পড়ে না। আমার ভিতরে আগুন রয়েছে। আমি এদের জন্য কিছু করতে চাই।’’ একইসঙ্গে শ্রমিক নেতাদের খোঁচা দিয়ে বলেছেন, ‘‘শিল্প ও শিল্পপতিদের সুবিধা দেওয়া এক নয়। দেশ ও সরকারের ভাল হওয়া আলাদা। তেমনই শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের কল্যাণের মধ্যেও সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে।’’
শ্রম সম্মেলনের মঞ্চে মোদীর এই সব বক্তব্যকে ‘নির্বাচনী ভাষণ’ হিসেবেই আখ্যা দিয়েছেন বাম-কংগ্রেসি শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের কোনও সমস্যা নিয়েই মুখ খোলেননি। দাবিদাওয়ার প্রসঙ্গও এড়িয়ে গিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy