আব্দুল আউয়াল মিন্টু। —ফাইল চিত্র।
মাস পাঁচেক আগে নয়াদিল্লিতে এসে ভারতীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি-র কয়েক জন প্রতিনিধি। ডিসেম্বরে ভোটের আগে ফের নয়াদিল্লি এসেছেন বিএনপি-র স্থায়ী কমিটির সদস্য তথা দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত তিনি সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা রাম মাধব এবং আরও কিছু বিজেপি নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর সঙ্গেও কথা বলেছেন বলে খবর। মিন্টু আপাতত দিল্লিতেই।
কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, ভারত-বিরোধী রাজনীতির জন্য পরিচিত বিএনপি কয়েক মাস ধরেই ভারতীয় নেতৃত্বের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করে চলেছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মিন্টুর চলতি সফরের উদ্দেশ্যও তাই। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া অনুপ্রবেশের একটি মামলায় আটক বিএনপি-র এক শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন আহমেদকে আজই বেকসুর খালাস দিয়েছে শিলংয়ের একটি আদালত। তাঁকে বাংলাদেশে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। ২০১৫-র মার্চে ঢাকার উত্তরা থেকে নিখোঁজ হওয়ার দু’মাস পর মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের রাস্তায় পাওয়া যায় সালাউদ্দিনকে। মিন্টুর ভারত সফরের সময়েই সালাউদ্দিনের এই মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে কুটনৈতিক শিবিরে। তবে বিষয়টি বিচার বিভাগের এক্তিয়ারে হওয়ায় মুখ খোলেনি কেন্দ্র।
সূত্রের খবর, মিন্টু তাঁর চলতি সফরে ভারতীয় নেতৃত্বকে এই বার্তাই দিয়েছেন যে তাঁরা বাংলাদেশে ক্ষমতায় এলে মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব বাড়বে। সূত্রের খবর, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে অন্তত ৫০টি আসনে সংখ্যালঘু প্রার্থী দেওয়া হবে— এমন কথাও মিন্টু ভারতীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। তবে বিএনপি-রই একটি অংশ মনে করছে, দলের এই ছত্রভঙ্গ অবস্থায় ভোটে অংশ নেওয়া অর্থহীন।
ভোটের চিত্রটি ঠিক কী দাঁড়াবে, তা এখনও স্পষ্ট না-হলেও মনে করা হচ্ছে যে বিএনপি-র তরফে নির্দিষ্ট বার্তা নিয়েই দিল্লি এসেছেন মিন্টু। বার্তাটি হল— শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের প্রতি কূটনৈতিক পক্ষপাত বহাল না-রেখে বিএনপি-র সঙ্গেও সমঝোতা করুক সাউথ ব্লক। চলতি বছরের জানুয়ারিতে নাগপুরে আরএসএস-এর একটি অংশের সঙ্গে বিএনপি-র কয়েক জন প্রতিনিধি দেখা করেন। বছর খানেক আগে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলে সঙ্ঘের প্রবাসী কিছু নেতার সঙ্গে তাঁর কথা হয়। তাঁদের মাধ্যমে মোদী সরকারকে নরম করার চেষ্টা হলেও কাজ বিশেষ হয়নি। কারণ, ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামাতে ইসলামি জোট সরকারের দুঃস্বপ্ন দিল্লির কাছে এখনও টাটকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy