প্রতীকী ছবি।
মৃত্যুর পর দেহ হস্তান্তরের নথিপত্র তৈরি করতেই লেগে গেল প্রায় দু’মাস! ততদিন শেষবারের মতো দেখার প্রিয়জনকে দেখার অপেক্ষায় ছিলেন স্ত্রী, সন্তান, মা, পরিজনরা। অবশেষে ৫৪ দিন পর সৌদি আরব থেকে দেহ ফিরল গ্রেটার নয়ডার বাড়িতে। তার আগে প্রশাসনের দরজায় ঘুরেও কার্যত কোনও কাজ হয়নি, অভিযোগ মৃত বছর সাতাশের যুবক ইরফান খানের পরিবারের।
জুলাই মাসেই দু’বছরের চুক্তিতে সৌদি আরবে কাজে গিয়েছিলেন গ্রেটার নয়ডার গৌতম বুদ্ধ নগরের দানকুরের বাসিন্দা ইরফান। সেখানে একটি আবাসনে কাজ করতেন। ১১ সেপ্টেম্বর জলের পাম্প চালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান তিনি। দু’-এক দিনের মধ্যেই মৃত্যুর খবর পেলেও মৃতদেহ আনা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে পরিবারের লোকেরা যোগাযোগ করেন। কিন্তু সৌদির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ময়নাতদন্ত এবং তারপর ভারতে দেহ পাঠানোর যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার আগে দেহ পাঠানো যাবে না।
তার পর থেকে কার্যত জেলা প্রশাসনিক আধিকারিক, নেতা-মন্ত্রীদের কাছে হত্যে দিয়েছিলেন বাবা নিজাম খান। অবশেষে সোমবার দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী বিমানবন্দরে দেহ আসে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ইরফানের। তাঁর স্ত্রী এবং বছর ছ’য়েকের পুত্রসন্তান রয়েছে। এত দেরি হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরাও।
আরও পড়ুন: কর্নাটক উপনির্বাচনেও ধাক্কা বিজেপির, ৫টির মধ্যে ৪টিতেই জয়ী কংগ্রেস, জেডিএস
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো বানিয়ে মাত্র ১৬ বছরেই ৩ কোটি টাকা জিতে নিল এই পড়ুয়া!
রফানের বাবা বলেন, ‘‘একটা সময় আমরা প্রায় ধরেই নিয়েছিলাম, দেহ আর ফেরত পাব না। সৌদি আরবে যাওয়ার চেষ্টাও করেছিলাম। কিন্তু টাকার অভাবে যেতে পারিনি। সরকারের পক্ষ থেকেও কোনও সাহায্য করা হয়নি।’’ তিনি বলেন, ‘‘এখানে একটা দোকান চালাত ইরফান। সৌদি আরবে যাওয়ার পর থেকে সেটাও বন্ধ। বৌমা আর ছোট্ট নাতিকে যে কী বলে সান্ত্বনা দেব, আর কিভাবে যে ওরা বাঁচবে, সেটাই ভেবে পাচ্ছি না।’’ তবে স্থানীয় বিধায়ক ধীরেন্দ্র সিংহ তাঁদের অনেক সাহায্য করেছেন বলেও জানিয়েছেন ইরফানের বাবা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy