লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, দড়ি টানাটানিও তত বাড়ছে বিএসপি নেত্রী মায়াবতীকে ঘিরে। দড়ির এক প্রান্তে বিজেপি। অন্য প্রান্তে এসপি এবং কংগ্রেস। মায়াবতী এখনও নিজের তাস দেখাননি। তাঁর ‘হাতি’ শেষ পর্যন্ত কোন শিবিরে প্রবেশ করে, আসন্ন বিধানসভা ভোটের ফলের উপরে তা অনেকটাই নির্ভর করছে বলে মত রাজনীতিকদের।
বিজেপি শীর্ষ সূত্রের খবর, বিএসপি নেত্রীকে নরমে-গরমে বিরোধী জোট থেকে দূরে রাখতে চেষ্টার ত্রুটি হচ্ছে না। সিবিআইয়ের রক্তচক্ষু দেখিয়ে পুরনো দুর্নীতির মামলাকে ফের জাগিয়ে তোলা তো রয়েছেই। পাশাপাশি মায়াকে বোঝানো হচ্ছে, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির সঙ্গে ঘর করা ও বিজেপি-বিরোধিতার ফলে তাঁর নিজের ভূমিক্ষয় হচ্ছে। তাঁর ভোটে ভাগ বসাচ্ছে কংগ্রেস এবং কিছুটা এসপি-ও। ফলে নিজের শক্তি বাড়াতে তাঁর উচিত বিজেপির সঙ্গে নেপথ্যে বোঝাপড়া করে একলা লড়া। তাতে বিজেপির আসন কিছু কমলেও জোটসঙ্গী হিসেবে মায়ার গুরুত্ব বাড়বে। বিজেপি নেতা রাম মাধব বলেন, ‘‘যাঁরা বিরোধী জোটের ঘর করছেন, অচিরেই তাঁদের ডিভোর্স হবে।’’ রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, মায়া স্বপ্ন দেখছেন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে বেশি আসন পেতে সচেষ্ট তিনি। সূত্রের খবর, মুখে ‘সম্মানজনক সংখ্যা’-র কথা বললেও মায়ার প্রকৃত দাবি, উত্তরপ্রদেশের ৫০ শতাংশ আসন। অখিলেশ যাদব ‘বুয়াজির’ প্রতি যথেষ্ট উদার বার্তা দিলেও এত আসন ছাড়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। আরএলডি এবং কংগ্রেসকেও কিছু আসন দিতে হবে। তার উপরে অর্ধেক আসন দিয়ে দিলে দলীয় সংগঠন ধরে রাখা সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। ফলে মায়ার সঙ্গে জোট নিয়ে এখনও আত্মবিশ্বাসী নন অখিলেশ।
এই অবস্থায় রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে কার্যত বিজেপির হাত শক্ত করতে একলাই লড়ছেন মায়া। ছত্তীসগঢ়ে তিনি জোট বেঁধে লড়ছেন বিজেপির সমর্থনপুষ্ট অজিত জোগীর সঙ্গে। রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে মায়ার যে ভোট রয়েছে, তা হয়তো শতকরা হিসেবে খুব বেশি নয়, কিন্তু তা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে ফারাক তৈরি করে দিতে পারে। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার অবশ্য দাবি, ‘‘খোদ রাহুল গাঁধী বলেছেন, বিধানসভা নির্বাচনে যা-ই হোক না কেন, লোকসভায় বিজেপি-বিরোধী জোট গড়তে সমস্যা হবে না। মায়াবতী সঙ্গে থাকবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy