বিয়ের মণ্ডপে পূজা ও ভরত। ছবি: এএনআই।
গুলি লেগেছে পায়ে। নড়াচড়া একেবারে বারণ। তাই বলে বিয়ে হবে না! না, তা হতে দিলেন না দিল্লির এক কনে। জখম অবস্থায় হাসপাতাল থেকে বিয়ের মণ্ডপে ফিরলেন তিনি। রীতি মেনে বাঁধা পড়লেন সাতপাকে।
দিল্লির শকরপুর এলাকার ঘটনা। বৃহস্পতিবার সেখানকার স্কুল ব্লকের পুরনো শিব মন্দিরে বিয়ের আয়োজন হয়েছিল পূজা ও ভরতের। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে মালাবদলের সময়। সবে একে অপরকে মালা পরাবেন বলে এগোচ্ছিলেন তাঁরা। আচমকাই অতিথিদের ভিড়ের মধ্যে থেকে গুলি চলার শব্দ আসে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পূজা। দেখা যায়, তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে।
তড়িঘড়ি ময়ূর বিহারের লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে পা থেকে গুলি বের করেন চিকিত্সকরা। তাঁকে বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়। নিষেধ করা হয় হাঁটাচলা করতে। কিন্তু চিকিত্সকদের পরামর্শ শোনেননি পূজা। লগ্ন বয়ে যাওয়ার আগে বিয়ে সেরে ফেলতেই হবে বলে জেদ ধরেন। তাঁর জেদের সামনে শেষ পর্যন্ত হার মানেন চিকিত্সকরা। এ দিন ভোররাতে মণ্ডপে ফিরে আসেন তিনি। রীতি মেনে সাতপাকে বাঁধা পড়েন।
আরও পড়ুন: ব্রিগেড সমাবেশকে সমর্থন জানিয়ে ‘মমতাদি’কে চিঠি লিখলেন রাহুল
আরও পড়ুন: মমতা কি প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার? কী বললেন শত্রুঘ্ন
তবে বিয়ে মিটে গেলেও, গোটা ঘটনায় নড়ে চড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। গুলি চলার খবর পেয়েই বিয়ের মণ্ডপে হাজির হয় স্থানীয় পুলিশ। আমন্ত্রিত অতিথিদের জেরা করে জানা যায়, কিছু বরযাত্রী মত্ত অবস্থায় অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে রিঙ্কু নামের একজন গুলি চালায়। সে ইচ্ছাকৃতভাবে পূজাকে নিশানা করে গুলি চালিয়েছে নাকি মাতামাতি করতে গিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। ঘটনার পর থেকেই ফেরার রিঙ্কু। তার খোঁজ চলছে।
বিয়ের অনুষ্ঠানে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা এর আগেও ঘটেছে রাজধানীতে। গতবছর নভেম্বর মাসে ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন এর ব্যক্তি। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অস্ত্রোপচারের মাত্র তিনঘণ্টার মধ্যে তিনিও মণ্ডপে ফিরে এসে বিয়ে সারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy