প্রতীকী ছবি।
মেয়ের বিয়ে। বাড়িতে সাজো সাজো রব। তারই মধ্যে এসে পৌঁছল কনের ভাইয়ের মৃত্যুর খবর। দক্ষিণ কাশ্মীরের হারওয়ানে লোন পরিবারের চিত্রটা হঠাৎ বদলে গেল তখনই।
সোপোর জেলার হারওয়ানের বাসিন্দা বছর চৌত্রিশের লিয়াকত আহমেদ লোন গত বছরের ৮ জুলাই থেকে নিখোঁজ। তিন সন্তানের বাবা লিয়াকত তার পরে কী করছিল, তা তাঁরা জানতেই পারেননি বলে দাবি লোন পরিবারের সদস্যদের। ইতিমধ্যে লিয়াকতের বোন শাইস্তার বিয়ে ঠিক হয়। আজই ছিল বিয়ের দিন। হঠাৎ খবর আসে, হান্দোয়ারার গালুরা গ্রামে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে লিয়াকত। পুলিশ জানিয়েছে, গত বছর হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুবার্ষিকীতে লিয়াকত ওই জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছিল। লোন পরিবারের এক সদস্য ফোনে বিহ্বল স্বরে বললেন, ‘‘আমরা লিয়াকতের দেহ পেয়েছি। এখন বিয়ের বদলে শেযকৃত্যের ব্যবস্থা করতে হবে।’’
সেনা জানিয়েছে, আজ ভোরে গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে হান্দোয়ারার গালুরা গ্রামে তল্লাশি শুরু করে বাহিনী। জঙ্গিরা জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। তাতে নিহত হয় লিয়াকত-সহ দুই জঙ্গি। দ্বিতীয় জনের নাম ফুরকান। বছর আঠারোর ওই জঙ্গি হান্দোয়ারার ল্যাংগেট এলাকার বাসিন্দা।
নিহত দুই জঙ্গি যে তাদের সদস্য তা এক বিবৃতিতে মেনে নিয়েছে হিজবুল। জঙ্গি সংগঠনে ‘কম্যান্ডার উমর খালিদ’ হিসেবে পরিচিত ছিল লিয়াকত। তাদের মুখপাত্রের দাবি, কম্যান্ডার খালিদের ‘বীরত্বে’র জন্যই তাদের অন্য অনেক সদস্য বাহিনীর বেষ্টনী এড়িয়ে পালাতে পেরেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy