জম্মু-পঞ্জাব সীমান্তের ঘটনা এখনও টাটকা। কাশ্মীর সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের তথ্য এসেই চলেছে সাউথ ব্লকে। এই পরিস্থিতিতে ঢাকার সঙ্গে সীমান্ত সংক্রান্ত বিস্তারিত রণকৌশল স্থির করতে আলোচনাসভায় বসছে নয়াদিল্লি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দু’জনেই এ ব্যাপারে একমত যে দু’দেশের সীমান্ত-নিরাপত্তাকে আরও জোরদার এবং আধুনিক করতে হবে। সেই লক্ষ্যে গত মাসে দু’জনের মধ্যে ঢাকায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে নাম-না করে সন্ত্রাস তথা সীমান্ত সন্ত্রাসের প্রশ্নটি তুলে সে সময় পাকিস্তানকে জোরালো আক্রমণ করেছিলেন মোদী। স্বভাবতই ইসলামাবাদও তাতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল।
দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে এটা স্পষ্ট যে এই আপৎকালীন সময়ে নিরাপত্তার প্রশ্নে ঢাকাকে পাশে পেতে চাইছে নয়াদিল্লি। তাই এই দীর্ঘ সমন্বয়ের আলোচনা। আগামী ২ থেকে ৭ অগস্ট— পাঁচ দিন ভারত এবং বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনী আলোচনায় বসছে। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনী বা বিজিবি-র পক্ষ থেকে মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদের নেতৃত্বে ২২ জন সদস্য নয়াদিল্লি আসছেন ২ অগস্ট সকালে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পরে সন্ত্রাস প্রশ্নে বাংলাদেশের সহযোগিতা পেয়ে এসেছে ভারত। ভারত-বিরোধী যে সব জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার করছিল, তাদের উৎখাত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সীমান্তকে আরও বেশি নিশ্ছিদ্র করার কথা ভাবা হচ্ছে। কোনও ভাবেই বাংলাদেশের সীমান্ত ব্যবহার করার সুযোগ যেন না পায় পাক জঙ্গি গোষ্ঠী, সে জন্য দু’দেশই কড়া সতর্কতা নেওয়ার কথা ভাবছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে যে বিষয়গুলি নিয়ে যৌথ সহযোগিতা বাড়ানো হবে তার মধ্যে রয়েছে আন্তঃসীমান্ত অপরাধ, চোরাপাচার, বাংলাদেশে ভারতীয় জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যকলাপ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, বিভিন্ন আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy