—ফাইল চিত্র।
জওয়ানদের নিম্ন মানের খাবার দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছিলেন যে বিএসএফ কর্মী, সেই তেজবাহাদুর যাদবকে বরখাস্ত করা হল। তেজবাহাদুরের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ-সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, স্টাফ কোর্ট অব ইনকোয়্যারিতে তেজবাহাদুর দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ‘ওই জওয়ানকে বরখাস্ত করা হয়েছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী আইনের আওতায়, বাহিনীতে কর্মরত সব কর্মীই ওই আইনের আওতায় পড়েন’, এমনই জানানো হয়েছে বিএসএফ-এর তরফে।
চলতি বছরের গোড়ার দিকেই ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন বিএসএফ জওয়ান তেজবাহাদুর যাদব। সে সময় তিনি জম্মু-কাশ্মীরে কর্মরত ছিলেন। খাবারের ছবি দেখিয়ে ফেবসুক ভিডিওয় তিনি দাবি করেছিলেন, বিএসএফ জওয়ানদের অত্যন্ত নিন্মমানের খাবার দেওয়া হয়। সেই ভিডিও নিমেষে ভাইরাল হয় এবং গোটা দেশে বিতর্কের ঝড় ওঠে। সেনা বাহিনী বা আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের খাওয়া-দাওয়ার মান সুনিশ্চিত করার বিষয়ে কেন সতর্ক থাকে না কর্তৃপক্ষ, এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে বিএসএফ জওয়ানের অভিযোগ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং বিএসএফ-এর কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
সীমান্তে কর্মরত জওয়ানরা উপযুক্ত মানের খাবার পান না, এ অভিযোগ মিথ্যা। জানাল বিএসএফ। —ফাইল চিত্র।
দিল্লি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয় বিষয়টি নিয়ে। জওয়ানদের জন্য উপযুক্ত মানের এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার জন্য হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়। আদালতও বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছিল। বিএসএফ-সহ বিভিন্ন আধা সামরিক বাহিনীকে নোটিস পাঠিয়ে খাদ্যের গুণমান সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পর্কে বাহিনীগুলির বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। তেজবাহাদুর যাদবের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএসএফ কী তদন্ত করছে এবং কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, সে রিপোর্টও হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অরুণাচলের ৬ এলাকার নতুন নামকরণ করে প্ররোচনার রাস্তায় চিন
প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ মতো প্রশাসনিক প্রক্রিয়া যেমন চলছিল, তেমনই তেজবাহদুর যাদবের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তও শুরু হয়েছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ না জানিয়ে তেজবাহাদুর ফেসবুকে অভিযোগ জানানোয়, তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আসে। বিএসএফ সূত্রে বুধবার জানানো হয়েছে, তেজবাহাদুরের আনা অভিযোগ মিথ্যা ছিল। স্টাফ কোর্ট অব ইনকোয়্যারির রিপোর্টে তেমনই জানানো হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ওই জওয়ানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানানোর জন্য তেজবাহাদুর যাদবকে তিন মাস সময়ও দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy