পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। ছবি- সংগৃহীত।
কেন্দ্রীয় বাজেটের কড়া সমালোচনা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে তাঁর সুরে সুর মিলিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীও।
কলকাতায় মমতা বলেছেন, ‘‘এই বাজেটে কিছুই নেই। দেশ কিছুই পায়নি। এটা দিশাহীন, জনবিরোধী ও আদ্যোপান্ত হতাশার বাজেট।’’
কেন ‘হতাশা’র, তাঁর নিজের মতো করে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, তিনি ভাল ভাবে দেখেছেন এ দিনের কেন্দ্রীয় বাজেট প্রস্তাব। ‘‘কিস্যু নেই কৃষকদের জন্য।’’
আর বাজেট প্রস্তাবে চোখ বুলিয়ে দিল্লিতে রাহুল বলেছেন, ‘‘ওদের সময় হয়ে এল। আর তো একটা বছর...’’
বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য বিমার যে ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, মমতার মতে, ‘‘ও সব কিছুই নয়। ও আমরা দু’বছর আগেই আমাদের এখানে (পশ্চিমবঙ্গ) চালু করেছি।’’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যে রাজ্যে ভোটের কথা মাথায় রেখেই এ বারের বাজেট করা হয়েছে। আর তাই ভোটে জেতার ‘তুরুপের তাস’ গ্রামাঞ্চল আর কৃষকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি-র হাত থেকে সম্ভবত সেই ‘তুরুপের তাস’ কেড়ে নিতেই বৃহস্পতিবার কলকাতায় মমতা বলেছেন, কৃষকদের জন্য কিছুই নেই এই বাজেটে। বরং সংখ্যালঘুদের জন্য অর্থ বরাদ্দ আগের চেয়ে অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কমিয়ে দেওয়া হয়েছে তফশিলিদের উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দের পরিমাণও।
আরও পড়ুন- আপনার আয়কর কমছে না, তবে...
আরও পড়ুন- ভোটের আগে রাজনৈতিক বাজেট
আগেও যা হয়েছে, আজই তাই হল। ‘শত্রু’ যখন বিজেপি, তখন তৃণমূলের সুরে সুর মিলে গেল কংগ্রেসের।
মমতার সুরে সুর মিলিয়েই এ দিন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী বলেছেন, ‘‘আগের কোনও প্রতিশ্রুতিই রাখতে পারেনি মোদী সরকার। এ বার যে বাজেট হল, তাতে এক বছর পর দেশে ভোট হলে এই সরকারের বিদায় অনিবার্যই।’’
এ দিন দিল্লি থেকে মমতাকে ফোন করে ভোটে তৃণমূলের জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান কংগ্রেসের সদ্য প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীও। মমতাও তাঁকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy