পটনায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে-বিক্ষোভে শামিল আরজেডি কর্মী-সমর্থকরা। ছবি: পিটিআই
সারা দেশের সঙ্গে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র প্রতিবাদে দিনভর উত্তাল ছিল বিহার। শনিবার রাজ্য জুড়ে বন্ধের ডাক আগেই দিয়েছিল রাষ্ট্রীয় জনতা দল। সেই বন্ধ ঘিরে দিনভর তপ্ত রইল রাজ্যের অধিকাংশ এলাকা। রেল-রাস্তা অবরোধ, যানবাহনে ভাঙচুর ঘিরে দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধের চেহারা নেয় বিভিন্ন এলাকা। জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে রাজ্যে মোট আহত হয়েছেন ১১ জন।
লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডি-র ডাকা বন্ধে কার্যত দিনভর অচল রইল বিহার। রাজধানী পটনা-সহ রাজ্যের প্রায় সর্বত্র সকাল থেকেই দলীয় পতাকা নিয়ে রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে আরজেডি কর্মী-সমর্থকদের। দ্বারভাঙায় খালি গায়ে মিছিলে শামিল হয়েছিলেন আরজেডি কর্মী-সমর্থকরা। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদের উভয় কক্ষেই সমর্থন করেছিল নীতীশ কুমারের দল। তাই বন্ধ সমর্থকরা নীতীশ কুমার এবং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্লোগানে-মিছিল করেন।
এ দিন সকাল থেকেই রাস্তাঘাট ছিল কার্যত শুনশান। সকালের দিকে যে দু’-একটি যানবাহন রাস্তায় নেমেছিল, বন্ধ সমর্থকরা সেগুলিতে হয় ভাঙচুর করেছেন, নয়তো দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। দোকানপাট খোলেনি। বিভিন্ন জায়গায় রাজ্য ও জাতীয় সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে শামিল হন আরজেডি কর্মী-সমর্থকেরা। তবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, বৈশালীতে মোষের পাল ছেড়ে দিয়ে আটকে দেওয়া হয় জাতীয় সড়ক। দ্বারভাঙায় রেললাইন অবরোধ করায় ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল।
It would have been classic comedy if it weren’t so scary.pic.twitter.com/qmg3nUCjJn
— I Am A Nishtha Gautam (@TedhiLakeer) December 21, 2019
#WATCH RJD workers vandalise auto rickshaws in Bhagalpur during 'bandh' called by the party against Citizenship Act and National Register of Citizens. #Bihar pic.twitter.com/A2ExVvIIn9
— व्यगंकार गोण्डवी (@imdkdubey) December 21, 2019
রাস্তায় বেরনো একাধিক অটোতে ভাঙচুরের ছবি ধরা পড়েছে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। ভাগলপুরে টিভি ক্যামেরায় সাক্ষাৎকারে এক আরজেডি নেতা জানাচ্ছিলেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করছিলেন। কিন্তু সেই সাক্ষাৎকারের মাঝপথেই একটি অটোকে আসতে দেখে দৌড়ে গিয়ে সেটিতে ভাঙচুর করতে শুরু করেন ওই নেতা। অটো ও অন্যান্য যানবাহনে ভাঙচুরের ছবি ধরা পড়েছে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তেও।
তবে পুলিশ-প্রশাসনও পরিস্থিতি যথাসাধ্য নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছে। বড় কোনও অশান্তির খবর নেই। একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে আরজেডি সমর্থকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy