নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। —ফাইল চিত্র
দেশ জুড়ে প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মধ্যেই এ বার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তার সঙ্গে জুড়ে দিলেন পাকিস্তান ইস্যুও। ঝাড়খণ্ডের বারহাইতে ভোটপ্রচারে গিয়ে মঙ্গলবার কংগ্রেস ও তার জোট শরিকদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মোদী বলেন, ‘‘ক্ষমতা থাকলে ওঁরা খোলাখুলি ঘোষণা করুন, পাকিস্তানের সব অনুপ্রবেশকারীকে নাগরিকত্ব দিতে তৈরি।’’ কংগ্রেস মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে মোদীর আশ্বাস, নয়া নাগরিকত্ব আইনের জন্য কোনও ভারতীয় নাগরিকের সমস্যা হবে না।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই অসম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে। পশ্চিমবঙ্গেও প্রায় প্রতি দিন অবরোধ-বিক্ষোভ চলছে। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বাস-বাইক জ্বালিয়ে প্রতিবাদ ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রদের মারধর করে বলেও অভিযোগ।
এমনই প্রেক্ষাপটেই এ দিন ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটের প্রচারে বারহাইত যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই একটি নির্বাচনী জনসভায় দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলগুলোকে আমি সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছি। ওদের (কংগ্রেস ও সহযোগী দলগুলির) সাহস থাকলে খোলাখুলি ঘোষণা করুক যে, তারা পাকিস্তান ও ভারতের সব অনুপ্রবেশকারীকে নাগরিকত্ব দেবে। দেশও তার প্রতিদান দেবে।’’
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘ভয়ভীতি’ ও ‘মিথ্যাচার’-এর অভিযোগও এ দিন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস মিথ্যাবাদী। আতঙ্ক ছড়াতে অভ্যস্ত। আমরা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করেছি। তার পর এখন ফের তারা ডাহা মিথ্যে কথা বলছে। আমি আবারও আশ্বস্ত করছি, ভারতীয় নাগরিকের ক্ষেত্রে সিএএ কোনও প্রভাব ফেলবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy