লখনউয়ের সম্ভলে পুড়ছে বাস। ছবি সৌজন্য টুইটার।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিক্ষোভটা দানা বাঁধছিল উত্তরপ্রদেশের নানা প্রান্তে। বেলা গড়াতেই রণক্ষেত্র হয়ে উঠল লখনউয়ের বিভিন্ন জায়গা। কোথাও পুড়ল সরকারি বাস, কোথাও পুলিশের উপর হামলা তো কোথাও আবার চলল কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ।
এ দিন সকালে বিক্ষোভটা শুরু হয়েছিল দিল্লির লালকেল্লা, মান্ডি হাউস এলাকায়। সেই বিক্ষোভের আঁচ মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবেশী রাজ্যে উত্তরপ্রদেশেও। গন্ডগোল হতে পারে এমন আশঙ্কা করেই আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। কিন্তু লখনউয়ের বিভিন্ন অঞ্চলে যে ভাবে দ্রুত গতিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে তা সামাল দিতে পুলিশ-প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হয়। অশান্তি ছড়ায় হাসানগঞ্জ, মাদেগঞ্জ, ডালিগঞ্জ-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়।
লখনউয়ের মাদেগঞ্জে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। অন্য দিকে, হাসানগঞ্জেও পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানেও বহু গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। হজরতগঞ্জে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বেশ কয়েকটি জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। জারি করা হয় ১৪৪ ধারাও।
রাজ্য পুলিশের ডিজি ওপি সিংহ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, মাদেগঞ্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়েছে। পরিবার্তন চকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল কংগ্রেসের সমর্থকরা। সে সময় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অজয় কুমার লাল্লুকে আটক করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের বাধা দিতে গেলে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বেশ কয়েক জন কংগ্রেস সমর্থককে নিজেদের হেফাজতে নেয় তারা। সমাজবাদী পার্টিও এ দিন প্রতিবাদে নামে। তাদের সমর্থকদের সঙ্গেও পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়।
সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয় রাজ্যের সম্ভল জেলায়। সেখানে বেশ কয়েকটি গাড়ি, বাইক ও সরকারি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। কুশিনগরে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy