নীরব মোদী। ফাইল চিত্র।
নীরব মোদী আমেরিকাতে আত্মগোপন করে আছেন। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে বেশ কয়েক দিন ধরে এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছিল। এমনকী তিনি যে সপরিবারে নিউ ইয়র্কের একটি বিলাসবহুল হোটেলে উঠেছেন, সে খবরও বিভিন্ন সূত্র থেকে আসতে শুরু করে কয়েক দিন ধরেই।
এ বার সে সব জল্পনায় জল ঢেলে মার্কিন সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, নীরব তাদের দেশে আছেন কি না সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত নয়। আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেন, “নীরবকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের উপর আমরা নজর রেখেছি। কিন্তু নীরব মোদী যে আমেরিকাতেই আছেন সে বিষয়টি সম্পর্কে তারা নিশ্চিত নন।”
পিএনবি প্রতারণা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার আগেই নীরব দেশ ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে নীরব ও তাঁর আত্মীয় মেহুল চোক্সীর বিরুদ্ধে। কিন্তু পিএনবি যত ক্ষণে বিষয়টি টের পেয়েছে, তার আগেই নীরবে দেশ ছাড়েন নীরব।
আরও পড়ুন: টাকা লুঠ করে দেশছাড়া আরও এক হিরে ব্যবসায়ী!
আরও পড়ুন: চোক্সীর সম্পত্তি অ্যাটাচ কলকাতায়
সিবিআই নীরব ও মেহুলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের বহু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট (ইডি) ও সিবিআই। তাঁদের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিসও জারি করা হয়। তদন্ত চলাকালীনই এই প্রতারণা কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মুম্বইয়ে পিএনবি-র ব্র্যাডি হাউস শাখার প্রাক্তন ডেপুটি ম্যানেজার, এক জন সিঙ্গল উইন্ডো অপারেটর এবং নীরবেরই সংস্থার এক কর্মীকে।
লুকআউট নোটিস জারি করার পরেও নীরবের কোনও হদিস পায়নি সিবিআই। এর মধ্যেই বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর আসে নীরব সুইত্জারল্যান্ডে রয়েছেন। আবার অন্য কিছু সূত্র থেকে খবর পাওয়া যায়, সুইত্জারল্যান্ডে নয়, নীরব রয়েছেন নিউ ইয়র্কে। এ বার সেই সম্ভাবনাতেও কার্যত জল ঢেলে দিল ওয়াশিংটন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy