Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Dehat

ফুলনদেবীর ‘প্রতিশোধ-নথি’ বেহমইয়ের ডায়েরি গায়েব, ক্ষুব্ধ বিচারক

বেহমই। ১৯৮১-র ১৪ ফেব্রুয়ারি কানপুর দেহাতের এই গ্রামে ঢুকে ‘দস্যুরানি’ ফুলন দেবীর বাহিনী ২০ জনকে খুন করেছিল বলে অভিযোগ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
কানপুর দেহাত শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২০ ০২:০১
Share: Save:

গোটা দেশে তোলপাড় ফেলে দেওয়া গণহত্যার একটি মামলা চলল ৩৯ বছর ধরে। কিন্তু বিচারক যেই রায় দিতে যাবেন, দেখা গেল কেস ডায়েরিই বেপাত্তা! সংশ্লিষ্ট কোর্ট-কর্তাকে তীব্র ভর্ৎসনা করে বিশেষ বিচারক সুধীর কুমার নির্দেশ দিলেন, ২৪ জানুয়ারি এজলাসে হাজির করতেই হবে বেহমই গণহত্যার সেই ডায়েরিটি। তার পরে রায়দানের নতুন তারিখ ধার্য হবে।

বেহমই। ১৯৮১-র ১৪ ফেব্রুয়ারি কানপুর দেহাতের এই গ্রামে ঢুকে ‘দস্যুরানি’ ফুলন দেবীর বাহিনী ২০ জনকে খুন করেছিল বলে অভিযোগ। নিহত ২০ জনই ঠাকুর সম্প্রদায়ের। অভিযোগ, বেহমই গ্রামে ঠাকুর সম্প্রদায়ের লোকেদের হাতে গণধর্ষিতা হয়েছিলেন নিম্নবর্ণের মেয়ে ফুলন। সেই অত্যাচারের পাণ্ডা ছিল লালা রাম ও শ্রী রাম নামে ঠাকুর সম্প্রদায়ের দুই ডাকাত। শোনা যায়, এই ঘটনারই বদলা নিতে ফুলনের নেতৃত্বে দস্যুদল বেহমইতে ঢুকে ২২ জন গণধর্ষণকারীকে গুলি করে। ২০ জন মারা যায়। তাদের মধ্যে অবশ্য শ্রী রাম ও লালা রাম ছিল না (কেউ কেউ যদিও বলেন, ফুলনকে ধর্ষণ করেছিল এই দু’জনই)।

অভিযুক্তের তালিকায় ফুলন-সহ ৩৫ জনের নাম ছিল। ঘটনার সাক্ষী ছিল অন্তত ১৫ জন। অভিযুক্ত দস্যুদলের অবশিষ্ট চার জনকে রায় শোনাবে আদালত। ফুলনের অন্যতম প্রধান সহযোগী বলে যাঁকে মনে করা হয়, সেই মান সিংহ-সহ ৩ জন ফেরার। ৮ জন আগেই নিহত হয়েছে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dehat Kanpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE