Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
মোদীকে চাপ

আইএএসের মৃত্যু-তদন্তে সিবিআই, শিবরাজে নয় কেন

সনিয়া গাঁধীর নির্দেশে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার আইএএস ডি কে রবির মৃত্যু রহস্যের তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে মধ্যপ্রদেশে বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই সিবিআই তদন্তের দাবি তুলে পাল্টা রাজনৈতিক চাল দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। সরকারি চাকরির নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে শিবরাজ সিংহ চৌহানের নাম জড়িয়ে নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে চাপে ফেললেন সনিয়া! বার্তা স্পষ্ট এ বার পদক্ষেপ করে দেখান প্রধানমন্ত্রী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৫ ০৩:৪৭
Share: Save:

সনিয়া গাঁধীর নির্দেশে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার আইএএস ডি কে রবির মৃত্যু রহস্যের তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে মধ্যপ্রদেশে বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই সিবিআই তদন্তের দাবি তুলে পাল্টা রাজনৈতিক চাল দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। সরকারি চাকরির নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে শিবরাজ সিংহ চৌহানের নাম জড়িয়ে নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে চাপে ফেললেন সনিয়া! বার্তা স্পষ্ট এ বার পদক্ষেপ করে দেখান প্রধানমন্ত্রী।

কর্নাটকের বছর পঁয়ত্রিশের আইএএস রবি বালি মাফিয়াদেরকড়া হাতে দমন করে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর ফ্ল্যাটে তাঁর ঝুলন্ত দেহ মেলে। পুলিশ আত্মহত্যা বললেও, প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্ত দাবি করে বিজেপি। গোড়ায় আপত্তি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। কিন্তু মৃত রবির মায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিবিআই তদন্তে সম্মতি দিতে মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন সনিয়া। ফলে খানিকটা হলেও বিজেপির বিরোধিতার ধার কমে।

এর পরেই নতুন রাজনৈতিকচাল দিলেন সনিয়া। সরকারিচাকরির নিয়োগে বড়সড় কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে এখন তোলপাড় মধ্যপ্রদেশ। ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের বিশেষ সহায়ক, মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় এবং নিয়োগ বোর্ডের আমলা-সহ ১৮০০ জন গ্রেফতার হয়েছেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, দুর্নীতির মূল পাণ্ডা খোদ মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নথি নিয়ে সনিয়ার নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। আজ মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ ও অন্যতম শীর্ষ নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, “কর্নাটকে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী স্বচ্ছ প্রশাসনের বার্তা দিয়েছেন। এ বার প্রধানমন্ত্রীও তাঁর কথা রাখুন।” দিগ্বিজয়ের দাবি, “লোকসভা ভোটের প্রচারে দুর্নীতি দমন প্রসঙ্গে মোদী বলেছিলেন, ‘নিজে খাব না, খেতেও দেব না।’ এ বার তা কাজে করে দেখান প্রধানমন্ত্রী।”

লোকসভা ভোটের পর গুটিয়ে যাওয়া কংগ্রেসে এখন বদলের হাওয়া। কৌশলী পদক্ষেপ করছেন সনিয়া। টানাপড়েন রয়েছে শিবরাজ-মোদীর সম্পর্কে। মোদী-অমিত শাহরা শিবরাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইলেরাজ্যে সরকার যেমন অস্থির হবে, তেমনই বিজেপির অন্দরেও কোন্দল বাড়বে। আবার কোনও পদক্ষেপ না করলে তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণের পথ খোলা থাকবে সনিয়ার সামনে। ছুটি কাটিয়ে এসে রাহুল হয়তো রাজ্য সফরে বেরোবেন। তখন এ সব নিয়ে জোরালো প্রচারের চেষ্টা হবে।

যদিও বিজেপি মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন আজ বলেন, কর্নাটক ও মধ্যপ্রদেশের ঘটনার মধ্যে ফারাক রয়েছে। মধ্যপ্রদেশে রাজ্য সরকার নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দল এর মধ্যেই অনেক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর দাবি, শিবরাজের সততা প্রশ্নাতীত। কংগ্রেস খামোখা রাজনীতি করছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE