এমন মিম দেখে হাসির ছররা ছুটছে সোশ্যাল মিডিয়া।
মোদী-মমতা, কপু-সিবিআই দ্বৈরথে শামিল টিনটিন-কাহিনির গোয়েন্দা জুটি ‘জনসন-রনসন’ও!
মিমে এক জন মোদী-অনুগত তো অন্য জন মমতাপন্থী। লাঠালাঠি শেষে দু’জনেই সুবিচারের প্রতীক দাঁড়িপাল্লাধারী চোখে ঠুলিপরা লেডি অব জাস্টিসের হেফাজতে। আর একটি মিমে, পুলিশ বনাম সিবিআই ডুয়েলে, দু’পক্ষই ‘ইউ আর আন্ডার অ্যারেস্ট’ বলে গলা ফাটাচ্ছে। শেষটা দু’জনকে বাঁচাতেই যথাক্রমে অভিভাবকের ভূমিকায় মোদী ও মমতা অবতীর্ণ। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কমিকস্ট্রিপের আদলে এমন মিম দেখে হাসির ছররা ছুটছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার নয়া হুজুগ, #দশবছরেরচ্যালেঞ্জ-এর আদলে সে-দিন ও আজ-এর ছবির কোলাজও মজুত নানা রূপে। ২০০৬ এবং ২০১৯-এর মমতার ধর্নার ছবি পাশাপাশি ভাইরাল! কোনও কার্টুনে মুখ্যমন্ত্রীর প্রলম্বিত অবয়বের পিছনে লুকিয়ে রয়েছেন সিপি রাজীব কুমার। তলায় লেখা, ‘টু-কি, ধত্তে পা-রে না’! টিভি চ্যানেলের আলোচনায় দুই তৃণমূল ও বিজেপি নেতার কলার ধরে ধাক্কাধাক্কির ভিডিয়ো অনেকেই দেখেছেন। কার্টুনেও দৃশ্যমান, মারমুখী দুই নেতার চিৎকার, ‘তোদের চোরেরা আমাদের চোরদের থেকে বড় চোর’!
আরও পড়ুন: হেলিকপ্টার ছেড়ে সড়ক পথে রাজ্যে ঢুকলেন যোগী, পুরুলিয়ার সভা থেকে মমতাকে তোপ
ফেসবুকের গুঞ্জন, অনেক দিন বাদে গোটা পরিবার একজোট। রুদ্ধশ্বাস নাটকের ধারাবিবরণীতে মজে টিভির সামনে। তবে ইদানীং নেটপাড়ায় বাঙালির সব তর্কেই সাবেক বাংলা সিনেমার বিবদমান ‘পিতাপুত্র’ কমল মিত্র-উত্তমকুমাররা থাকবেনই। মাঝে আতঙ্কিত ‘মা’ ছায়াদেবীকে দাঁড় করিয়ে পর পর ছবির সংলাপে, বাবাকে অমান্য করে উত্তম ধর্নায় যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আর একটি ছবিতে, অনেকগুলো কাকের ভিড়ে একটি সাদা। কাকেদের গায়ে সিবিআই-এর হাতে ধৃত বিভিন্ন তৃণমূল নেতার নাম, সাদা কাকটি তৃণমূলত্যাগী বিজেপি-নেতা মুকুল রায়। কাকের ছবি আঁকার জন্য বিখ্যাত শুভাপ্রসন্নকে এই ছবির শিল্পী বলা হয়েছে।
তবে অষ্টপ্রহর রাজনৈতিক নাট্যেও সবটাই নেতিবাচক নয়। ক’দিনের ঘটনাক্রমে স্মৃতিকাতর বাঙালির উপলব্ধি— বামেদের ব্রিগেডে জনসমুদ্র, দিদি আবার ধর্নায়, এ বার স্রেফ সচিন-সৌরভ মাঠে নামলেই ছোটবেলা ফিরে আসবে। ‘নৈতিক জয়’ যারই হোক, রসিক-মনের জয় সংশয়াতীত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy