Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

জেলে ইন্দ্রাণীর অসুস্থতার রহস্যভেদ চায় সিবিআই

জেলে অসুস্থ হয়ে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের হাসপাতালে ভর্তির অধ্যায় থেকেই শিনা বরা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করতে চায় সিবিআই। আজ মহারাষ্ট্র সরকারকে সিবিআই জানিয়েছে, ইন্দ্রাণীর পাকস্থলী থেকে পাওয়া নমুনা, রক্ত ও মূত্রের নমুনা সংরক্ষিত করা হোক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৫ ০০:১৬
Share: Save:

জেলে অসুস্থ হয়ে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের হাসপাতালে ভর্তির অধ্যায় থেকেই শিনা বরা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করতে চায় সিবিআই।

আজ মহারাষ্ট্র সরকারকে সিবিআই জানিয়েছে, ইন্দ্রাণীর পাকস্থলী থেকে পাওয়া নমুনা, রক্ত ও মূত্রের নমুনা সংরক্ষিত করা হোক। বাইকুল্লা জেলের তদন্ত রিপোর্ট, রাজ্য পুলিশ বা হাসপাতাল থেকে পাওয়া যাবতীয় রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। ইন্দ্রাণী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার পর তাঁকে এবং অন্য দুই অভিযুক্ত, ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খন্না ও গাড়ির চালক শ্যাম রাইকেও জেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিবিআই। জেলেই তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সিবিআই কর্তৃপক্ষ এই তদন্তের দায়িত্বভার এক মহিলা অফিসারের হাতে তুলে দিয়েছেন। সিবিআই সূত্রের খবর, ডিআইজি লতা মনোজ কুমার জেরা শুরুর আগে তদন্তকারী দলের অফিসারদের যাবতীয় নথি খুঁটিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। তিন প্রধান অভিযুক্তকে জেরার পরের ধাপে শিনার ভাই মিখাইল বরা, ইন্দ্রাণীর বর্তমান স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়, পিটারের ছেলে তথা শিনার প্রেমিক রাহুলকেও জেরা করতে চায় সিবিআই। মুম্বই পুলিশের তদন্তে কোনও ফাঁক থেকে গিয়েছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

সবার আগে ইন্দ্রাণীর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির রহস্য উদ্ধার করতে চাইছে সিবিআই। শিনা হত্যার প্রধান অভিযুক্ত, শিনারই মা ইন্দ্রাণীকে গত ২ অক্টোবর বাইকুল্লা জেল থেকে অসুস্থ অবস্থায় জে জে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কেন জেলের মধ্যে ইন্দ্রাণী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, তার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। প্রথমে জে জে হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছিল, বেশি মাত্রায় মৃগীরোগ ও মানসিক অবসাদের ওষুধ খেয়ে ফেলাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ইন্দ্রাণী। একটি বেসরকারি হাসপাতালের রিপোর্টেও একই কথা বলা হয়। কিন্তু পরে সরকারি ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি জানায়, জে জে হাসপাতালের পাঠানো নমুনা থেকে কোনও ওষুধের নমুনা মেলেনি। সিবিআই সূত্রের বক্তব্য, প্রয়োজনে আবার সেই নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হতে পারে। সেই কারণেই নমুনাগুলি সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে।

ইন্দ্রাণীর আইনজীবী গুঞ্জন মঙ্গলা দাবি তোলেন, তাঁর মক্কেলের মৃগীরোগ ছিল না। মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন না তিনি। প্রশ্ন ওঠে, তা হলে কি ইন্দ্রাণীকে জেলের মধ্যে খুনের চেষ্টা হয়েছিল? ইন্দ্রাণীর শরীরের নমুনায় অবশ্য কোনও বিষাক্ত পদার্থ মেলেনি বলেই হাসপাতালের তরফে দাবি করা হয়েছিল। বেশি মাত্রায় ওষুধ খেয়ে ফেললেও জেলের মধ্যে কী ভাবে ওই ওষুধ পৌঁছল, তার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় আইজি (কারা) বিপিন কুমার সিংহকে। সেই রিপোর্টও এখনও জমা পড়েনি। মৃগীরোগ বা মানসিক অবসাদের ওষুধ সঞ্জীব খন্নাকে দেওয়া হয়েছিল বলে একটি সূত্রে খবর মিলেছে। যদিও এখনও সেই বিষয়টি নিশ্চিত নয়। তদন্তে নেমে সেই দিকটিও খতিয়ে দেখতে চাইছে সিবিআই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE