Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

সিবিএসই-র প্রথমার কাটা গেল এক নম্বর

পাঁচশোর মধ্যে ৪৯৯ পেয়েছেন তিনি। নয়ডার মেঘনা শ্রীবাস্তব। কী করে তাঁর এক নম্বর কাটা গেল তা জানতে সারা দিন ধরেই উৎসাহী সোশ্যাল মিডিয়া। মিম থেকে শুরু করে নানা রসিকতা এখন ঘুরছে টুইটার আর ফেসবুকের মতো সাইটে।

সাফল্য: সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল ঘোষণার পরে। দিল্লির এক স্কুলে। শনিবার। ছবি: পিটিআই।

সাফল্য: সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল ঘোষণার পরে। দিল্লির এক স্কুলে। শনিবার। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৮ ০৩:৪২
Share: Save:

পাঁচশোর মধ্যে ৪৯৯ পেয়েছেন তিনি। নয়ডার মেঘনা শ্রীবাস্তব। কী করে তাঁর এক নম্বর কাটা গেল তা জানতে সারা দিন ধরেই উৎসাহী সোশ্যাল মিডিয়া। মিম থেকে শুরু করে নানা রসিকতা এখন ঘুরছে টুইটার আর ফেসবুকের মতো সাইটে। সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় প্রথম হওয়া মেঘনা নিজেই অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইংরেজিতে এক নম্বর কাটা গিয়েছে তাঁর। ১০০-র মধ্যে ৯৯ পেয়েছেন। বাকি চারটি বিষয়, ভূগোল, অর্থনীতি, মনোবিদ্যা আর ইতিহাসে এক নম্বরও কাটতে পারেননি কেউ। সবেতেই ‘পারফেক্ট ১০০’। মেঘনার থেকে ঠিক এক নম্বর কম পেয়েছেন গাজিয়াবাদের ছাত্রী অনুষ্কা চন্দ্র। ইতিহাস, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান আর মনোবিদ্যায় তিনিও ১০০ করেই পেয়েছেন। ইংরেজিতে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৮।

শনিবার প্রকাশিত হয়েছে এ বছরের সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল। পাশের হারে ছাত্রদের ছাপিয়ে গিয়েছেন ছাত্রীরা। মেধাতালিকার প্রথম তিনেও ছাত্রীরদেরই আধিপত্য। এ বারের পরীক্ষায় ছাত্রীদের পাশের হার ৮৮.৩১%। অন্য দিকে ছাত্রদের পাশের হার ৭৮.৯৯%। এ বার মোট সাত জন ছাত্র-ছাত্রী তৃতীয় হয়েছেন। তার মধ্যে আবার পাঁচ জনই মেয়ে। তৃতীয় স্থানাধিকারীদের নামগুলি হল, চাহত বোধরাজ, আস্থা বাম্বা, তনুজা কাপরি, সুপ্রিয়া কৌশিক, অনন্যা সিংহ, নকুল গুপ্ত এবং ক্ষিতীশ আনন্দ। তবে প্রথম তিনে ঠাঁই পাননি পশ্চিমবঙ্গের কোনও স্কুলের পড়ুয়া। এ বারের পরীক্ষায় সঙ্গী ছিল বিতর্কও। দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগেই ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। নিজেদের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে ফের সেই পরীক্ষা নেয় বোর্ড।

প্রথম হওয়া মেঘনা নয়ডার স্টেপ বাই স্টেপ স্কুলের ছাত্রী। সিবিআইয়ের প্রাক্তন অধিকর্তা অনিল সিনহার আত্মীয়া তিনি। অনিল জানিয়েছেন, বরাবরের মেধাবী ছাত্রী মেঘনা। সংবাদমাধ্যমকে মেঘনা নিজেই জানিয়েছেন, এই সাফল্যে কোনও রহস্য নেই। সারা বছরের পরিশ্রম আর ধারাবাহিকতাই এত ভাল ফল এনে দিয়েছে তাঁকে। তবে মেঘনা বলেন, ‘‘পড়াশোনা আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটানোর মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখা দরকার।’’ মেঘনা জানিয়েছেন, আজ নিজের ফল দেখতেও ভয় পাচ্ছিলেন তিনি। কম্পিউটারের সামনে চোখ বন্ধ করে বসেছিলেন। তাঁর বাবাই তাঁকে নম্বরগুলি জানান। স্কুলের বন্ধুরা টেক্সট করে জানান, তিনিই এ বারের প্রথমা। ভবিষ্যতে কী নিয়ে পড়ার ইচ্ছে? মেঘনার জবাব, মনোবিদ্যা। তাঁর কথায়, ‘‘আমার সৌভাগ্য যে কী পড়ব, তা নিয়ে বাবা-মা কখনওই চাপ দেননি।’’

এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩০৬ জন। এ বার পাশের হারও কিছুটা বেড়েছে। গত বছর যেখানে ৮২.০২% ছাত্রছাত্রী দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পাশ করেছিলেন, এ বার সেটাই বেড়ে হয়েছে ৮৩.০১%। সিবিএসই কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আজ জানানো হয়েছে, দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফল আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকেই প্রকাশ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE