দলিত ঘরে নেতাদের খেতে বলে নিজের গলাতেই কাঁটা বিঁধছে নরেন্দ্র মোদীর। ক’দিন আগে নেতাদের পই পই করে বলেছিলেন— তাঁরা যেন এমন কিছু না করেন যাতে সংবাদমাধ্যম ‘মশলা’ পায়। কে শোনে কার কথা! প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে দলিত ঘরে তো যাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু রোজই গোল পাকাচ্ছেন কেউ না কেউ।
অগত্যা এই সব নেতার তালিকা চেয়েছেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। বলা হচ্ছে, বেফাঁস মন্তব্যের বহর দেখে নাম ধরে ধরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোদী ক্ষমতায় আসার পরেই দেশ জুড়ে দলিত নিগ্রহের ঘটনা চাপে ফেলেছে বিজেপিকে। দলিত আইন লঘু করার অভিযোগে হাঙ্গামাও হয়েছে সম্প্রতি। তার পর থেকেই দলের মন্ত্রী, সাংসদ, নেতাকে দলিত গ্রামে রাত কাটাতে বলেছেন মোদী। কারা যাচ্ছেন, তার উপরেও নজর রাখছেন।
বিপত্তি সেখানেই। উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সুরেশ রানা দলিত ঘরে গিয়েও খাবার, জল, বাসন এনেছেন বাইরে থেকে। এক দিনের জন্য কুলারও বসিয়েছেন। আগে এমনটাই হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্য। সেখানে তো দলিতদের সাবান দিয়ে স্নান করতেও বলা হয়েছিল। দলিতের বাড়িতে এসেছিল নতুন গেরুয়া সোফা। যোগী যাওয়ার পরে সেগুলো তুলে নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী আবার দলিত ঘরে যেতেই চাননি। তিনি বলেছেন, দলিতদের বাড়িতে ডেকে নিজের হাতে খাওয়াবেন। উত্তরপ্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী অনুপমা জায়সবাল বলেছেন, রাতভর মশার কামড় খেয়েও দলিত ঘরে থেকে তৃপ্তি পাচ্ছেন নেতারা। আর এক মন্ত্রী রাজেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ আবার দলিত বাড়িতে খেয়ে নিজেকে রামের সঙ্গে তুলনা করে বসেছেন।
বিজেপির আরও মাথাব্যথা, এই ‘দলিত-প্রেম’ দেখানো নিয়ে দলের দলিত সাংসদেরাই ক্ষুব্ধ। উদিত রাজ, সাবিত্রী ফুলের মতো সাংসদেরা প্রকাশ্যেই বলেছেন, এমন নাটক করে উল্টে অপমানই করা হচ্ছে দলিতদের।
সঙ্ঘের এক নেতার দাবি, বিজেপির দলিত-কর্মসূচি নিয়ে অখুশি খোদ সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। গত কাল শোনা যায় ভাগবত নাকি বলেন, ‘‘দলিত ঘরে না গিয়ে তাঁদের সব সময়ে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।’’ আজ বিবৃতি দিয়ে তা নস্যাৎ করার পাশাপাশি সঙ্ঘ বলেছে, জাতির ভিত্তিতে কোনও ভেদ করে না তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy