Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
National News

বাজেটে কার লাভ, কার ক্ষতি

অর্থ বরাদ্দের নিরিখে অগ্রাধিকার পেয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষার সংস্থা, হাসপাতাল, পরিবহণ সংস্থা, নির্মাণ ও ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য উৎপাদক সংস্থা, গয়না নির্মাতা, বিক্রেতা ও বিমানবন্দরগুলি।

হাতে বাজেটের স্যুটকেস। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বৃহস্পতিবার, সংসদ ভবনে।

হাতে বাজেটের স্যুটকেস। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বৃহস্পতিবার, সংসদ ভবনে।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৭:৫৬
Share: Save:

স্বাধীনতার পর প্রায় একটা ‘কৃষিবিপ্লব’ই করে ফেলল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার! শস্য উৎপাদনে নয়, কৃষিতে বাজেট বরাদ্দে।

সব হিসেবনিকেশেই যেমন লাভ-ক্ষতির অঙ্ক কষা হয়, কেন্দ্রীয় বাজেটও তার ব্যতিক্রম নয়।

প্রতি বারের মতো এ বারও সেই হিসাব কষার পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, স্বাধীনতার বহু দিন পর কেন্দ্রীয় বাজেটে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পেয়েছেন কৃষকরা। ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র মন্ত্রে ‘দীক্ষিত’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার শহরের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চেয়েছে গ্রামাঞ্চলকেই। কেন্দ্রীয় বাজেটের ‘আলো’ পড়েছে গ্রামঞ্চলের গরিব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের উপর।

দিনের শেষে ‘জয়ী’র তালিকায় তাই সবচেয়ে আগে নাম রয়েছে কৃষকদের। আর কৃষকদের সব সময়ের ওঠা-বসা যাদের নিয়ে, রুজি-রোজগার নির্ভর করে যে সব জিনিস বা যাদের উপর, মোদী সরকারের এই বাজেটে তার সবক’টিই অন্তত অর্থ বরাদ্দের নিরিখে যথেষ্টই গুরুত্ব পেয়েছে।

ফলে, কৃষিভিত্তিক সংস্থাগুলির লাভ হয়েছে। দেশজুড়ে কৃষিপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের জোরালো সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। অভূতপূর্ব ভাবে অগ্রাধিকার পেয়েছে কৃষিপ্রকল্প, সেচপ্রকল্প ও অ্যাকোয়া কালচার। উপকৃত হয়েছেন মৎস্যজীবীরা। পশুপালন যাঁদের জীবিকা, তাঁরাও।

আরও পড়ুন- আপনার আয়কর কমছে না, তবে...​

আরও পড়ুন- গ্রাম ও ভোটমুখী মধ্যমেধার বাজেট পেশ করলেন জেটলি​

এ ছাড়াও অর্থ বরাদ্দের নিরিখে অগ্রাধিকার পেয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষার সংস্থা, হাসপাতাল, পরিবহণ সংস্থা, নির্মাণ ও ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য উৎপাদক সংস্থা, গয়না নির্মাতা, বিক্রেতা ও বিমানবন্দরগুলি।

কারও লাভ হলে, কারও ‘সর্বনাশ’ হয়, এটাই জীবনের নিয়ম।

এ বারের কেন্দ্রীয় বাজেটেও সেটাই হয়েছে। কাস্টমস শুল্কের হার বাড়ানোর প্রস্তাব বাজেটে থাকায় ক্ষতি হয়েছে নামী-দামি মোবাইল নির্মাতা সংস্থাগুলির। বন্ড-বাজারে বিনিয়োগকারীদের ঘাড়ে করের বোঝা ভারী হয়ে যাওয়ায় বেশ ক্ষতি হয়েছে নামী-দামি বন্ডে বিনিয়োগকারীদের। তাদের মধ্যে স্টেট ব্যাঙ্কের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিও রয়েছে। ক্ষতি হয়েছে জীবন বিমা ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE