রাফাল নিয়ে নালিশ জানাতে অরুণ শৌরি, যশবন্ত সিন্হা-সহ প্রশান্ত ভূষণ সম্প্রতি দেখা করেছিলেন সিবিআই অধিকর্তার সঙ্গে। মোদী সরকারের আশঙ্কা, অবসরের আগে কোনও ভাবে বিপাকে ফেলার চেষ্টা না করেন সিবিআই প্রধান!
সিবিআইয়ের ডিরেক্টর অলোক বর্মার সঙ্গে স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার বিবাদ নতুন নয়। আস্থানা প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন বলে পরিচিত। উপরন্তু অলোক বর্মা সম্প্রতি রাফাল নিয়ে শৌরিদের সঙ্গে দেখা করার পর অত্যন্ত ক্ষুব্ধ সরকারের একাংশ। এতটাই যে, মন্ত্রিসভার এক শীর্ষ সদস্য আজ বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের ডিরেক্টর অভিযোগকারীদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করছেন, এমন নজির নেই। তা-ও আবার যখন অভিযোগকারীরা রাজনীতির লোক! এর ফলে সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতাই প্রশ্নের মুখে।’’
অরুণ শৌরিরা আপাতত অলোক বর্মার সঙ্গে দেখা করে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে বলেছেন। রাহুল গাঁধীর সুরে সুর মিলিয়েই শৌরিরা রাফালের অভিযোগ নিয়ে পৃথক ভাবে সক্রিয়। এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সিবিআই ডিরেক্টর অবসর নিচ্ছেন সামনের বছরের গোড়ায়। লোকসভার ভোটের ঠিক মুখে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করার অনুমতি চাইতে পারেন। অনুমতি না মিললে প্রশান্তরা তখন আদালতেও যেতে পারেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের ধারণা, সিবিআইয়ের ভিতরে এখন আক্ষরিক অর্থে গৃহযুদ্ধ চলছে। সম্প্রতি এয়ারসেল ম্যাক্সিস মামলায় তা প্রকাশ্যে চলে আসে। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের পাশাপাশি অফিসারদের বিরুদ্ধেও আড়াই মাস আগে চার্জশিট দায়ের করেছিল সিবিআই। কিন্তু চলতি মাসে আদালতে সিবিআই জানায়, সরকার তাঁদের অভিযুক্ত করার অনুমতিই দেয়নি। আদালতের কাছে সরকারের মুখ পোড়ে।
সংঘাত দেখে বিজেপিরই সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেছেন, ‘‘এনডিএ সরকার ধীরে ধীরে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের রোগে ভুগছে। প্রধানমন্ত্রীর উচিত অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা।’’ রাহুল গাঁধী সম্প্রতি বলেছেন, ‘‘রাফাল নিয়ে মজা সবে শুরু। আগামী কয়েক মাসে এই নিয়ে আরও তথ্য সামনে আসবে।’’ কোথা
থেকে আসবে? কংগ্রেসের এক
নেতা আজ বললেন, ‘‘মোদী সরকারের থেকেই আসবে। আজ পর্যন্ত এত তথ্য আমাদের হাতে আর কোথা থেকে আসছে? সরকারের ভিতরে আমাদের শুভানুধ্যায়ীও তো অনেকে আছেন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy