রেল ইঞ্জিনে এই সেই বিতর্কিত লোগো। নিজস্ব চিত্র
প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা রেলের ইঞ্জিনে আদানিদের সংস্থার লোগো নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সরকার আজ তড়িঘড়ি তাঁর ফেসবুক পোস্টকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে দাবি করল। প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ, কৃষি ক্ষেত্রের মতো রেলের একটি বড় অংশ আদানিদের মতো ধনকুবের বন্ধুদের হাতে তুলে দিতে চাইছে বিজেপি।
রেল ইঞ্জিনের গায়ে, দরজার পাশেই বড় করে ‘আদানি উইলমার’ সংস্থার লোগো জ্বলজ্বল করছে। এমনই একটি ৪৫ সেকেন্ডের ভিডিয়ো ফেসবুকে দিয়ে প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, “কোটি কোটি ভারতীয়ের কঠোর পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে রেল।... তার উপরে বিজেপি তাদের বিলিয়নেয়ার বন্ধুর মোহর বসিয়ে দিয়েছে। আগামী দিনে রেলের একটি বড় অংশ (নরেন্দ্র) মোদীজির বিলিয়নেয়ার বন্ধুদের হাতে চলে যাবে।” প্রিয়ঙ্কা উল্লেখ করেছেন, মোদীজির ধনকুবের বন্ধু যাতে কৃষি ক্ষেত্রকে কব্জায় নিতে না-পারেন, তার জন্যই দেশের কৃষকেরা এখন কঠিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
টুইটারে একই ভিডিয়ো-ক্লিপ দিয়ে গুজরাতের কংগ্রেস নেতা হার্দিক পটেল লিখেছেন, “রেল আদানি গ্রুপের বিজ্ঞাপন গ্রহণ করেছে। এতে নিঃসন্দেহে বলা যায়, কৃষকেরা সত্যের পথেই চলেছেন।” প্রিয়ঙ্কা টুইটারে হার্দিকের পোস্টটি শেয়ার করেছেন।
भारतीय रेल पर अदानी के फ़्रेश आटे का विज्ञापन देखने लायक़ हैं। अब तो दावे के साथ कह सकते है की किसानों की लड़ाई सत्य के मार्ग पर हैं। pic.twitter.com/WB97kaG6Fe
— Hardik Patel (@HardikPatel_) December 12, 2020
সরকার পিআইবি-কে দিয়ে প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ খারিজ করিয়েছে। ‘পিআইবি ফ্যাক্ট চেক’ নামে টুইটার অ্যাকাউন্টে দাবি করা হয়েছে, “ফেসবুকে একটি ভিডিয়োর সঙ্গে দাবি করা হয়েছে, সরকার ভারতীয় রেলের উপরে বেসরকারি সংস্থার মোহর লাগিয়ে দিয়েছে। এই দাবি ভুল। এটি কেবল এক বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন। এর উদ্দেশ্য, ট্রেনভাড়া বাবদ আয়ের বাইরে অতিরিক্ত রাজস্ব সংগ্রহ।” ‘বিভ্রান্তিকর দাবি’ আখ্যা দিয়ে প্রিয়ঙ্কার পোস্টটি সম্পর্কে আপত্তিও জানিয়েছে পিআইবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy