Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সরকার থেকে সরছেন চন্দ্রবাবু

তেলুগু দেশমের নেতারা জানাচ্ছেন, আজ জোট ছাড়ার কথা ঘোষণা না করলেও সেটাই ভবিতব্য। এই মুহূর্তে লোকসভায় ১৬ জন তেলুগু দেশম সাংসদ রয়েছেন।

চন্দ্রবাবু নায়ডু

চন্দ্রবাবু নায়ডু

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৮ ০৩:১৯
Share: Save:

শরিকদের মধ্যে‌ নরেন্দ্র মোদীর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। আজ তিনিই সম্পর্কত্যাগের পথে হাঁটছেন। আপাতত মোদী সরকারে তেলুগু দেশমের দুই মন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে বলেছেন। তবে এনডিএ জোট ছাড়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলতে চান তিনি।

তেলুগু দেশমের নেতারা জানাচ্ছেন, আজ জোট ছাড়ার কথা ঘোষণা না করলেও সেটাই ভবিতব্য। এই মুহূর্তে লোকসভায় ১৬ জন তেলুগু দেশম সাংসদ রয়েছেন। চন্দ্রবাবু জোট ছাড়লে সরকার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা না থাকলেও জাতীয় রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদীর জন্য এটা বড়সড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে। বিশেষ করে রাজ্যসভায় সরকার সংখ্যালঘু। সেই উচ্চকক্ষে ৬ জন তেলুগু দেশম সাংসদ হাতছাড়া হওয়ার খেসারতও দিতে হবে। যখন বিরোধী থেকে শরিকরা সংসদের ভিতর ও বাইরে চেপে ধরছে বিজেপিকে।

চন্দ্রবাবুর আজ প্রায় মাঝরাতের ঘোষণার পরে দলের অনেকে অবশ্য মনে করছেন যে, বোঝাপড়ার একটা জায়গা এখনও খোলা রাখলেন তেলুগু দেশম প্রধান। বিজেপির উপরে আরও চাপ বাড়িয়ে তাদের প্রতিক্রিয়াও দেখতে চান।

আরও পড়ুন: মূর্তি ভাঙচুর দক্ষিণেও, ছাড় বিজেপি নেতাকে

তেলুগু দেশম নেতারা জানেন, চন্দ্রবাবু ধাপে ধাপে সম্পর্ক ছিন্ন করলেও এখন তা জোড়া লাগা কঠিন। কারণ, অন্ধ্রের জন্য যে বিশেষ মর্যাদা তিনি চাইছেন অর্থ কমিশনের সুপারিশের পরে সেটি দেওয়া সম্ভব নয়। অরুণ জেটলি আজ সেটিই স্পষ্ট করে দিয়ে বলেছেন, ‘‘বিশেষ মর্যাদার বদলে বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে তা পুষিয়ে দিতে রাজি কেন্দ্র। কিন্তু আবেগের রাজনীতি করলে অর্থ বরাদ্দ বাড়বে না। কেন্দ্রকে সংবিধান মেনে সব রাজ্যের স্বার্থই সমান ভাবে দেখতে হবে। না হলে অন্য রাজ্যও একই দাবি জানাবে।’’

কিন্তু বিশেষ মর্যাদার দাবি নিয়ে প্রতিপক্ষ জগন্মোহনের প্রবল চাপ রয়েছে চন্দ্রবাবুর উপরেও। আবার সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জগন সমর্থন করেছেন এনডিএ প্রার্থীকে। বিজেপির সঙ্গে জগনের এই ঘনিষ্ঠতাও না পসন্দ চন্দ্রবাবুর। তার উপরে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের একটি অংশ মনে করে, চন্দ্রবাবুর সঙ্গে থাকলে তাঁদের পক্ষে শক্তি বাড়ানো সম্ভব নয়।

কিন্তু চন্দ্রবাবুর মতো এক জন ‘পরিণত’ শরিক বিদায় নিলে রাহুল গাঁধীরা শেষ হাসিটা হাসবেন বলে মনে করছেন রাজনীতিকদের অনেকেই। গত কালই রাহুল বলেছেন, ‘‘ক্ষমতায় এলে অন্ধ্রকে বিশেষ মর্যাদা দেবে কংগ্রেস।’’ যা দেখে চন্দ্রবাবু আজ বলেছেন, ‘‘রাহুল পারলে বিজেপি পারবে না কেন?’’

শরিক ছেড়ে যাওয়ার অস্বস্তি ঢাকতেই বিজেপি আগেভাগে প্যাকেজ ঘোষণা করে বল ঠেলে দিয়েছিল চন্দ্রবাবুর কোর্টে। চন্দ্রবাবু বল বিজেপির
কোর্টে পাঠিয়ে সময় দিলেন মোদীকে। ‘পরিণত’ রাজনীতিক বলছেন, ‘‘কারও প্রতি ক্ষুব্ধ নই। অন্ধ্রের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE