প্রবাসী স্বামী তাঁকে প্রতারণা করেছেন, তাঁর সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছেন। এই অভিযোগ তুলে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের দ্বারস্থ হলেন এক পঞ্জাবি মহিলা। চন্দদীপ কউর নামে ২৯ বছরের ওই মহিলার স্বামীকে ইতিমধ্যেই অপরাধী ঘোষণা করেছে পুলিশ। নিউজিল্যান্ডবাসী চন্দদীপ সুষমা স্বরাজকে জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীকে যেন নিউ জিল্যান্ডে থাকতে না দেওয়া হয়। যাতে আর কোনও অনাবাসী ভারতীয় তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করার সাহস না পায়। স্বামীর পাসপোর্ট বাতিলের আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।
চন্দদীপ কউর বলেন, ‘‘আমি এমন এক দৃষ্টান্ত তৈরি করতে চাই যাতে আর কোনও প্রবাসী স্বামী তাঁর স্ত্রীকে এ ভাবে প্রতারণা করার সাহস না পায়। এই ধরনের পুরুষদের শায়েস্তা করার জন্য কড়া আইন থাকা উচিত। আমি চাই ওকে অবিলম্বে দেশে আসতে বাধ্য করা হোক। যাতে আমি ওকে ডিভোর্স দিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করতে পারি।’’ বিদেশ মন্ত্রক তাঁর কাছে জরুরি কাগজপত্র চেয়ে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন চন্দদীপ।
আরও পড়ুন: জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া ‘মোগলি’ ফিরে পেল তার পরিবার!
২০১৫ সালের জুলাই মাসে অকল্যান্ডে অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত রমনদীপ সিংহের সঙ্গে বিয়ে হয় চন্দদীপের। তিনি বলেন, ‘‘বিয়ের পরই অগস্ট মাসে ও নিউজিল্যান্ডে ফিরে যায়। আমি জলন্ধরে ওর পরিবারের সঙ্গে থাকতে শুরু করি। ওই বছরেরই ডিসেম্বর মাসে কিছু দিনের জন্য ও ভারতে এসেছিল। জানুয়ারিতেই ফিরে যায় নিউজিল্যান্ডে। মাত্র ৪০-৪৫ দিন আমি আমার স্বামীর সঙ্গে থেকেছি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের আচরণ খুবই আমানবিক ছিল। ওঁরা বলেন, রমনদীপকে ত্যাজ্য করেছেন। তাই আমি যেন বাবা, মায়ের কাছে ফিরে যাই। আমি বহু বার রমনদীপকে ফোন করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ও আমার ফোন ধরেনি। আমার শ্বশুরবাড়ির তরফের অন্য আত্মীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু তারাও আমার ফোন ধরেননি। এমনকী, আমার নম্বরও ব্লক করে দেওয়া হয়।’’ এর পর ২০১৬ সালের অগস্ট মাসে স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান চন্দদীপ। তার বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রমনদীপকে অপরাধী ঘোষণা করে জলন্ধর পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy